আমাদের সকলেই একটি স্বাস্থ্যকর এবং ফিট জীবন যাপন করার স্বপ্নে দেখি। কিন্তু খুব কম লোকেই তা পায়। কারণ এর জন্য দরকার গভীর মনোযোগ এবং সার্বক্ষণিক অনুপ্রেরণা দরকার তা সবার মধ্যে থাকে না। ভারতের স্বপ্না ভাস প্যাটেল ওই অল্প কয়েকজনের একজন। যিনি দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দরী ফিটনেস প্রশিক্ষক এবং দুনিয়াজুড়ে অনেকেরই ফিটনেস অনুপ্রেরণা।
কিশোর বয়সে ওজন বেশি হওয়ার কারণে তাকে তিরস্কার করা হত। ফলে তিনি প্রতিজ্ঞা করেন তাকে দেখে যেন কেউ আর না হাসে সেই ব্যবস্থা করবেন তিনি। যেমন ভাবা তেমন কাজ। এরপর কয়েক বছরের কঠোর পরিশ্রমে তিনি হয়ে উঠেন এক মহা ফিটনেস ট্রেইনার এবং ইনস্ট্রাকটর। আসুন জেনে নেওয়া যাক তার গল্পটি।
স্বপ্না বলেন কিশোর বয়সে আমার ওজন ছিল ৮৬ কেজি। এরপর আমি নিজের ওজন ৫৩ কেজিতে নামিয়ে আনি কয়েক বছরের প্রচেষ্টায়। আমি ৩৩ কোজি ওজন কমিয়েছি। প্রথমে ওজন বেশি থাকলেও আমি নিজের ত্বক নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলাম। কিন্তু একদিন একজন অপরিচিত লোক আমাকে আমার প্রকৃত বয়সের চেয়ে বেশি বয়সের মনে করলে আমার মনে গভীর আঘাত লাগে। ওই ব্যক্তি আমাকে আমার ভাতিজির মা হিসেবে ধারণা করেন। অথচ তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ১৯। ওই ঘটনায় আমার ভেতরে ক্ষোভের ঝড় উঠে। ফলে যে জিনিসি পরিবর্তন করা সম্ভভ তা মেনে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই আমি।’
এরপরই স্বপ্না তার খ্যাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন। এবং অনেক সময় ক্ষুধা লাগলেও না খেয়ে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু এভাবে ২ বছর করার পরও কোনো কাজ হচ্ছিল না।
এরপর তিনি পুষ্টি এবং শরীরচর্চা সম্পর্কে পড়াশোনা শুরু করে। রীতিমতো গবেষণা করে তিনি নিজের জন্য খাদ্যাভ্যাস বেছে নেন এবং শরীরচর্চা করতে থাকেন। এরপর তার ওজন কমতে থাকে।
এই পর্যায়ে এসে তিনি চর্বি কমানো এবং সুন্দর দেহ গঠনে মনোযোগ দেন।
তিনি বলেন, ‘আমি এমনভাবে খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলি যে আমি কখনো অতিরিক্ত ক্ষুধার্ত অনুভব করি না। আমি প্রতি দুই ঘন্টা পরপরই খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলি। কিন্তু খু্বই কম পরিমাণে। কোনো খাবার থেকে বঞ্চিত হলেই কেবল আমাদের দেহ সেটির জন্য আঁকুতি জানাতে থাকে। আর এজন্যই আমি সব ধরনের খাবার অল্প করে হলেও খেতে থকি। যেমন সুগার পুরোপুরি বাদ দিয়ে দিলে দেহ সেটির জন্য আরো বেশি আঁকুতি জানাতে থাকবে। যার ফলে হয়তো আপনি তা অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে দেহের বারোটা বাজাতে পারেন। তবে আমি প্রোটিন, চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেটস সীমিত পরিমাণে খাই।’
সূত্র: বোল্ডস্কাই