শিক্ষায় সাফল্যে ২৬৫ শিক্ষার্থী পেলেন প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক

শিক্ষায় সাফল্যে ২৬৫ শিক্ষার্থী পেলেন প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক

দেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষদে সর্বোচ্চ নম্বর বা সিজিপিএ পাওয়া ২৬৫ জনের গলায় স্বর্ণপদক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৫ এবং ২০১৬ সালের ফলাফলের ভিত্তিতে এই পুরস্কার পেয়েছেন তারা।
শিক্ষায় সাফল্যে ২৬৫ শিক্ষার্থী পেলেন প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদকরবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এই পদক তুলে দেন সরকারপ্রধান। যেসব শিক্ষার্থী পদক পেয়েছেন, তাদের মধ্যে তিনজন নেপালি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো বৃদ্ধ হয়ে গেছে, আমরা আর কয় দিন। তোমাদেরকেই দেশের দায়িত্ব নিতে হবে; বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে হবে।’

‘কি পারবে না তোমরা?’-শেখ হাসিনার এই প্রশ্ন শিক্ষার্থীরা সমন্বরে জবাব দেন, ‘পারব।’

পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা বাড়ার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা রসিকতা করে বলেন, ‘ছেলেদেরকেও কিন্তু ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হবে।’

অনুষ্ঠানের সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসির চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, ‘এক সময় মনে করা হতো প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অর্জন করা গেলেই অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব। কিন্তু এখন অনুভূত হচ্ছে, উচ্চ শিক্ষা জরুরি। উন্নত বিশ্বও এই দিকে নজর দিচ্ছে।’

গত এক দশকে উচ্চ শিক্ষায় সংখ্যাগত উল্লম্ফন হয়েছে জানিয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, উচ্চ শিক্ষায় ছাত্র সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান এশিয়ায় চতুর্থ।
শিক্ষায় সাফল্যে ২৬৫ শিক্ষার্থী পেলেন প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদকতবে কেবল সংখ্যার দিকে নজর দিলে সেটা ভবিষ্যতের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে জানিয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, গুণগত মান অর্জনেও আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

 

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই স্বর্ণপদক বিতরণে মেধাবীদেরকে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যোগাবে। নানা জটিলতায় প্রতি বছর এই পদক দেয়া যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী বছর ২০১৭ এবং ২০১৮ সালের জন্য পদক দেয়া হবে। এরপর প্রতি বছর নিয়মিত করা সম্ভব হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, এই দেশটা ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এক কোটি মানুষ শরণার্থী হয়ে অপরিসীম কষ্ট করেছে। তাদের কথা ভেবে হলেও নতুন প্রজন্মকে দেশ গড়ায় মনযোগী হতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের পূর্ব পুরুষদের এই আত্মত্যাগ আমরা ভুলে যেতে পারি না।’

শিক্ষার্থীদেরকে দেশের প্রতিও অনুগত থাকার আহ্বান জানান শিক্ষা সচিব। বলেন, ‘আপনাদের পেছনে মা-বাবা হয়ত খরচ করেছে ১০ শতাংশ, বাকি ৯০ শতাংশ টাকা খরচ করেছে এই দেশের মানুষ। মনে রেখে যার যার ক্ষেত্র থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।’

এ সময় পদক প্রাপ্তদের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের রুবাইয়া জাবিন প্রিয়তা এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নুহ মোহাম্মদ তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। দুই জনই অঙ্গীকার করেন দেশের উন্নতির জন্য তারা তাদের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment