মুরাদনগরে খেলনা পিস্তল ও ছোড়াসহ ডাকাত গ্রেফতার

মুরাদনগরে খেলনা পিস্তল ও ছোড়াসহ ডাকাত গ্রেফতার
মো:ফাহাদ বিন রহমান,মুরাদনগর(কুমিল্লা)প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগরে খেলনা পিস্তল ও ছোড়াসহ বশির মিয়া (৩৫) নামে এক ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের মোশারফ মিয়ার ছেলে। সোমবার গভীর রাতে আমপাল এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তার গ্রেফতারের খবর শুনে ওই এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, গত ৪ মার্চ মাধবপুর গ্রামের চট্টগ্রামস্থ ব্যবসায়ী স্বপন মিয়ার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংগঠিত হয়। ডাকাতরা কৌশলে ঘরের জানালা খুলে ঘরে প্রবেশ করে। তখন স্বপন মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগমের বুকে অস্ত্র ও গলায় ছুরি ঠেকিয়ে আলমিরার চাবি নেয়। এ সময় তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ষ্টিলের আলমিরা থেকে নগদ আড়াই লাখ টাকা ও ৫ ভড়ি স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়।
এ ঘটনাটি থানায় জানানোর পর ডাকাত ধরার জন্য পুলিশ ফাঁদ পাতে। উক্ত ডাকাতির সাথে জড়িত একই গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে রমিজ উদ্দিনকে গত ৬ মার্চ আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ কালে উক্ত ডাকাতির ঘটনায় সে-সহ চারজন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তখন গৃহকর্তী হালিমা বেগম বাদী হয়ে ধৃত রমিজ উদ্দিনসহ চারজন নামধারী ও অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা রুজু করে। পরদিন ৭ মার্চ ধৃত রমিজ উদ্দিন কুমিল্লার ৮নং আমলী আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী দেয়।
সোমবার রাতে মুরাদনগর থানার এসআই শরিফুল ইসলাম, এসআই আশরাফ উদ্দিন ভুইয়া ও এসআই আব্দুল আজিজের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডাকাত বশির মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশও তার পিছু নিয়ে আমপাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। ওই সময় তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক একটি খেলনা পিস্তল ও একটি ছোড়া উদ্ধার করা হয়।
মুরাদনগর থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ আরজুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ধৃত বশির মিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ ছাড়াও সে কয়েকটি ডাকাতি মামলার এজহার নামীয় আসামী। ইতিপূর্বে সে কয়েকবার কারাগারে ছিল। আজ বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লার কেন্দ্রিয় কারাগারে পাঠানো হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment