নিজেকে হত্যা করিয়ে ডিজিটালি বাঁচতে চান এই ধনপতি

নিজেকে হত্যা করিয়ে ডিজিটালি বাঁচতে চান এই ধনপতি

মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে, মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এটি ছিল প্রাণ কবিতার প্রথম দুটি লাইন। পৃথিবীতে মানুষ দীর্ঘ জীবন লাভ করবে এটা সবার ইচ্ছা। তবে সবার ভাগ্যে দীর্ঘ জীবন লাভ নয়। তাই অনেকে দীর্ঘ জীবন লাভের বিকল্প পথের সন্ধান করেন ।

 

তেমনই দীর্ঘ জীবন লাভের আশায় যুক্তরাষ্ট্রের এক ধনপতি( হাজার কোটির টাকার মালিক) নিজেকে হত্যার জন্য এক কোম্পানিকে ১০ হাজার ডলার দিয়ে অগ্রিম ভাড়া করে রেখেছেন। তার নাম স্যাম অল্টম্যান। ৩২ বছর বয়সী সিলিকনভ্যালির এই প্রযুক্তি ব্যবসায়ী। নেকটোমি নামের এক কোম্পানিকে নিজের মস্তিষ্ক সংরক্ষণের জন্য বুকিং দিয়েছেন।

 

স্যাম অল্টম্যান চান তার মৃত্যুর আগেই মস্তিষ্ক সংরক্ষণ করে বোতলে রাখা হোক। পরে মস্তিষ্কের সব অংশ স্ক্যান করে তা কম্পিউটারে আপলোড করা হোক। এরপর সিমুলেশন ব্যবহার করে সেই মস্তিষ্ককে জাগিয়ে তোলা হবে। তিনি এই পৃথিবীতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেচে থাকতে চান। এমআইটি টেকনোলজি রিভিউতে তিনি এসব কথা বলেন।

 

নেকটোমি কোম্পানিতে এভাবে বেচে থাকার জন্য আরো ২৪ জন নাম লিখিয়েছে। কোম্পানির এমন প্রস্তাব নতুন নয়। জীবিত থাকতেই ব্যক্তিকে এ কাজ করতে হবে বলে তারা জানিয়েছে। তবে তারা এখনো এ কাজটি করার অনুমতি পায়নি। তবে যেদিন এটি করার আইনি অনুমতি পাবে সেদিন তারা এ কাজ করবে।

 

নেকটোমি এখন রাসায়নিক দিয়ে মৃতদেহকে সংরক্ষণ করার কাজ করছে। হাজার বছর এসব দেহকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে বলে তাদের দাবি। এসব করার উদ্দেশ্য একটাই, ভবিষ্যতে যাতে বিজ্ঞানীরা এসব মরদেহকে কম্পিউটার সিমুলেশনের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত করা যায়।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায় নেকটোমি চিকিৎসকের সহায়তায় তাদের ক্লায়েন্টদের আত্মহত্যা করার সুযোগ দেবে। তবে তারা মৃত দেহের টিস্যু থেকে অতীত স্মৃতি তুলে আনতে পারবে এমন কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তবে তারা গ্রাহকদের তালিকা তৈরির কাজটি শুরু করে দিয়েছে। যারা ডিজিটালি বাচতে চায়। যেদিন এই পুরো প্রক্রিয়াটি আইনি ভিত্তি পাবে, সেদিন এসব কাজ শুরু করা হবে। নেকটোমির সহ প্রতিষ্ঠাতা রবার্ট মসিন্টিরে এসব কথা বলেন। তাছাড়া চিকিৎসকের সহায়তায় আত্মহত্যা যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে বৈধ। তাই নেকটোমি তাদের কাজের বৈধতা পেতে বেশি সময় নেবে না।

যুক্তরাষ্ট্র  ভিত্তিক আরেকটি কোম্পানি মরদেহকে তরল নাইট্রোজেন দিয়ে সংরক্ষণ করছে। তাদের আশা ভবিষ্যতে বিজ্ঞান এতটাই আধুনিক হবে যে মেডিসিন বা প্রযুক্তি দিয়ে মৃতের মধ্যে প্রাণ সঞ্চার করা যাবে। তাই তারা মৃত্যুর পর মরদেহকে তরল নাইট্রোজেনে সজীব করে রাখছে। সূত্র : দ্যা মিরর অনলাইন

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment