ইট সলিং  রাস্তায় মাটি দ্বারা  উন্নয়ন নামে অর্থ আত্মসাত 

ইট সলিং  রাস্তায় মাটি দ্বারা  উন্নয়ন নামে অর্থ আত্মসাত 
মোহাম্মদ আব্দুস সালাম(রুবেল) সাভার প্রতিনিধিঃ-
ইট  সলিং করা রাস্তায় মাটি ভরাট কাজের উন্নয়ন প্রকল্প দেখিয়ে  ৪ লক্ষ টাকা আত্মসাত।  ২০১৬-১৭  অর্থবছরে ভাকুর্তা ইউনিয়নে কাগজ-কলমে  দেখিয়েছে সাভার পিআইওর কার্যালয়। অতিদরিদ্র প্রকল্প মাটি দ্বারা রাস্তা উন্নয়ন  আওতায় ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ভাকুর্তা ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড ফিরিঙ্গীকান্দা নিয়ামতের বাড়ী হতে  বাহেরচর  নুর আলীর বাড়ি পর্যন্ত মাটি ভরাট করে রাস্তার উন্নয়ন কাজের জন্য ৪০ দিনের কর্মসুচীতে  ৫০ জন শ্রমিক দেখানো হয়।  প্রকল্পটির ব্যয় মোট ৪ লাখ টাকা।গত (২৫ ই মার্চ)  সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রকৃত পক্ষে রাস্তটি ইটের সলিং করা হয়েছে । ভাকুর্তা (ইউপি) সদস্য  ৩নং ওয়ার্ড  দেলোয়ার হোসেন  বলেন, বাহেরচর গ্রামে নিয়ামত নামে কোন ব্যক্তি নেই এবং এই নুর আলীর বাড়ির সামনে রাস্তাটি কয়েক বছর আগেই ইটের সলিং করা হয়েছে ।
বাহেরচর গ্রামে বসবাসকারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক  কয়েকজন ব্যাক্তি জানান, এই রাস্তাটি গত ৫ বছর আগেই ইট সলিং করা হয়েছে।  ভুয়া প্রকল্প দিয়ে ৪ লাখ টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। আইনের উদ্ধে কেউ নয় আইনের মাধ্যমে তাদের শাস্তি দাবী করছেন গ্রামবাসীরা।
 গ্রামবাসীরা জানান  জনপ্রতিনিধি নামের ঐ সকল লুটেরাদের  আইনের মাধ্যমে কঠোর শাস্তি দাবী জানাই।
 ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে  বলেন, ইউনিয়নে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সেই টাকা  জমা আছে। তিনি আরো বলেন, আমি কোন কাজ করিনি, কাজ করেছে স্থানীয় মেম্বাবরা, এ ব্যাপারে তারাই ভাল  বলতে পারবে। ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোহাম্মদ আলী মুঠোফোনে বলেন তিনি ২০ মাস আগে ভাকুর্তা ইউনিয়নে যোগদান করেছেন তাই এই বিষয়ে তিনি অবগত নয়। তিনি আরও বলেন আমি কোন দুর্নীতি কাজের সাথে যুক্ত না।
ভূয়া প্রকল্পের নামে টাকা আত্নাসাত ব্যাপারে সাভার উপজেলার প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) একরামুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন , ভুয়া প্রকল্প দিয়ে বা কাজ না করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের  সুযোগ নেই।
সাভার উপজেলার নির্বাহী  কর্মকর্তা শেখ রাসেল হাসান বলেন, খোঁজখবর নিয়ে দেখব। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করা  হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment