হবিগঞ্জী যাত্রীবাহী বাস দূর্ঘটনায় নিহত কপিল উদ্দিনের জানাযায় শোকার্ত জনতার ঢল

হবিগঞ্জী যাত্রীবাহী বাস দূর্ঘটনায় নিহত কপিল উদ্দিনের জানাযায় শোকার্ত জনতার ঢল

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:-
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নে নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছোট ছেলে মো.কপিল উদ্দিন (২৪) গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা ৫০ মিনিটের সময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা হবিগঞ্জগামী হবিগঞ্জ-সিলেট এক্সপ্রেস বিরতিহীন পরিবহন যার নং (ঢাকা মেট্রো ব-১১- ০৬৮৬) যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশ্ববর্তী জমিতে পড়ে ধুমরে মুছরে যায়। ঘটনার স্থান থেকে কপিল উদ্দিনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
কপিল উদ্দিনের মরার খবর আসার পর অত্র এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।সকলের মুখে মুখে শোনা যায় কপিল উদ্দিনের নাম। গতকাল রাত বৃহ:বার তার বাড়িতে লাশ আসার পর থেকে দেখতে এলাকার মানুষ জড়ো হতে থাকে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি আপলোড করে সমবেদনা জানান ও দোয়া চান সকলের কাছে সকল বন্ধু বান্ধব ও আত্নীয় স্বজনরা। মরহুমের জানাযার নামাজ গতকাল সকাল শুক্রবার সকাল ১০ টার সময় নোয়াগাঁও গ্রামের ফুটবল মাঠে সম্পন্ন হয়েছে। মাঠে অনুষ্ঠিত এ জানাযায় শোকার্ত জনতার ঢল নামে।কপিল উদ্দিনের অকাল মৃত্যুতে শোকে শোকাহত হয়ে যায় রানীগঞ্জ ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ। এ সময় সন্তানহারা মাতা ও বড় ভাই আক্কাছ আলী সহ স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ। সকালে হাজার খানের মানুষের সমাগমে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় নোয়াগাঁও গ্রামের ফুটবল মাঠ। সকাল থেকে জড়ো হতে থাকে তার সাথে লেখাপড়া করা শিক্ষার্থী সহ বন্ধু বান্ধব সকলের মুখে একই প্রশ্ন এত কম সময়ে কপিল চলে যাবে আমরা কেউ বিশ্বাস করি নাই। জানাযায় উপস্থিত ব্যক্তিরা বলেন, শোকাহত স্বজনদের সান্তনা দেবার ভাষা আমাদের জানা নেই। তবে এমন সড়ক দূর্ঘটনা কারোরই কাম্য নয়। আজ আমরা যে যুবকে হারালাম এ ক্ষতি পূরণ হবার নয়।আল্লাহ সন্তানহারা মাতা ও বড় ভাইদের ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুন। স্থানীয়রা জানান,হবিগঞ্জী বাসের দূর্ঘনায় প্রায় পরিবারে উপার্জনশীল ব্যক্তিগণ দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে।এসব পরিবারের সদস্য মানবেতর জীবন যাপন করছে।তারা আরো জানান,হবিগঞ্জী বাসের অধিকাংশ বাসগুলো সময় নষ্ট করে শেষের দিকে এসে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালিয়ে গন্তব্য স্থানে পৌছানোর চেষ্টা করেন।এ কারণেই প্রায় অত্র গাড়ী দুর্ঘটনার ঘটে। ফিটনেস বিহিন গাড়ি অতিরুক্ত গতি এবং কিছু অদক্ষ ড্রাইভারদের জন্য সাধারণ যাত্রীদের জীবন নিরাপদ নয় । গতকাল দূর্ঘনার পরা বাসটির তথ্য দিয়ে বলেন, যতটুকু জেনেছি হাইওয়ের পুলিশের চাঁদার জন্য হঠাৎ করে চলন্ত ট্রাক থামায় তার ঠিক পেছনে ছিল হবিগঞ্জী বাস তখন বাস ট্রাককে পেছনে ধাক্কা দেবার কথা কিন্তু বাসের চালক ট্রাকটিকে ধাক্কা না লাগিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে চেয়েছিল আর তখনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে পড়ে যায়। আমার প্রশ্ন এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য বাসের ড্রাইভার ট্রাকের ড্রাইভার না পুলিশ দায়ী ? স্থানীয়রা দাবি জানিয়ে বলেন, হবিগঞ্জী বাসের দূর্ঘনা এড়াতে স্থানীয় প্রশাসন সহ সকলের মিলে কাজ করতে হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment