এটা লাশের রাজনীতি: ঢাবি উপাচার্য

এটা লাশের রাজনীতি: ঢাবি উপাচার্য

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শিক্ষার্থীর গুজব ছড়িয়ে বাসভবনে ভাঙচুরের ঘটনাকে লাশের রাজনীতি বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান। তার বাসায় ঢুকে শিক্ষার্থীরা এভাবে ভাঙচুর করবে, সেটি ধারণাতেও ছিল না তার।

এই হামলাকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া হিসেবেও অভিহিত করেন উপাচার্য।

কোটা সংস্কারের দাবিতে রবিবার রাতে শাহবাগে অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীদেরকে পুলিশ হটিয়ে দেয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। এরপর রবিবার গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর ঘটনা ঘটে।

বারটার দিকে আন্দোলনকারীদের মধ্যে একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে যে আন্দোলনরত দুই শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনে যান। এরপর বাসভবনের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আসবারপত্র ভাঙচুর করে। পরে সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় বাসার সামনে রাখা উপাচার্যের দুটি প্রাইভেটকারও পুড়িয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা।

এছাড়া উপাচার্যের বাসভবনের ওপরের ও নিচতলায় ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত হননি।

এর প্রতিক্রিয়ায় সোমবার সকালে উপাচার্য বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, প্রাণনাশের জন্য, লাশের রাজনীতি করা। এই তাণ্ডব সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাষ্ট্রের প্রতি আঘাত।’

‘ছাত্ররা যে এমনভাবে তাণ্ডব পরিচালনা করবে এটাতো ধারণার বাইরে। আমার পুলিশের সাথে কথা হয়েছে। তাদেরকে বলেছি পাবলিক লাইব্রেরি পার হয়ে আন্দোলনকারীরা যেন ক্যাম্পাসের ভেতরে না আসতে পারে। আমি আগেই এটি নিশ্চিত করেছি। সেখানে প্রক্টরের টিম ছিল।’

‘আমি মনে করছি, উপাচার্য ভবনের সামনে এসে হয় আন্দোলন করবে। কিন্তু তারা বাসভবনের ভিতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। আল্লাহর অনেক রহতম যে প্রাণে বেঁচে গেছি। আমার পরিবারের সদস্যরাও ভীত হয়ে পড়ে।’

উপাচার্য বলেন, ‘আমি পরিবারের সদস্যদের বললাম, আমি তো শিক্ষক। পরে আমি নিচে আসি। পরে আমি কয়েকজনের সাথে বারান্দায় যায়। তারপর তাদেরকে বলি যে চলো নিচেই যাই।’

‘পরে নিচে নামার সময় দেখি আরেকদল বাড়ির ভেতরে ঢুকেছে। আমাকে দেখে তারা আমার সাথে ফিরে যায়।’

সাংবাদিকদেরকে উপাচার্য বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন কীভাবে তাণ্ডব পরিচালিত হয়েছে। কোটার বিষয়টি তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিষয় নয়। এজন্য আমরা ধারণা করিনি যে, এমন ঘটনা ঘটবে।’

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment