মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
জগন্নাথপুর-শিবগঞ্জ-বেগমপুর সড়কের নলজুর সেতুর ধসে যাওয়া এ্যাপ্রোচের সংস্কার কাজ পাঁচ মাসেও শেষ হয়নি। প্রায় পাঁচ মাস যাবত এ সড়ক দিয়ে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার পর বিগত ২৪ শে এপ্রিল এই স্থানে অস্থায়ীভাবে সংস্কার কাজ শুরু হলেও গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতের কারনে আবারও ধসে পড়েছে অস্থায়ীভাবে নির্মিত সংস্কার কাজ।
জগন্নাথপুর-শিবগঞ্জ-বেগমপুর সড়কের নলজুর সেতুর ধসে যাওয়া এ্যাপ্রোচের সংস্কার কাজ পাঁচ মাসেও শেষ হয়নি। প্রায় পাঁচ মাস যাবত এ সড়ক দিয়ে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার পর বিগত ২৪ শে এপ্রিল এই স্থানে অস্থায়ীভাবে সংস্কার কাজ শুরু হলেও গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতের কারনে আবারও ধসে পড়েছে অস্থায়ীভাবে নির্মিত সংস্কার কাজ।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলার ঘোষগাঁও গ্রাম নিবাসী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু মিয়া বলেন, আজ থেকে প্রায় মাস আগে নলজুর সেতুর এ্যাপ্রোচে ধসে যাওয়া স্থানে কোনোমতে সংস্কার কাজ করে সরাসরি যান চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিগত বছরের ৬ ই ডিসেম্বর জগন্নাথপুর-শিবগঞ্জ-বেগমপুর সড়কের নলজুর সেতুর পাশের সংযোগ সড়কের এ্যাপ্রোচ ধসে পানিতে পড়ে। ফলে জনসাধারন চলাচল করতে গিয়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হন।
জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, ২০১৩ সালের–মে মাসে সুনামগঞ্জ -৩ আসনের সংসদ সদস্য, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি নলজুর নদীর ওপর ঘোষগাঁও নামক স্থানে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সাপেক্ষে ৩৯.১৫ মিটার গার্ডার সেতুর উদ্বোধন করেন। কিন্তুু সংযোগ সড়কের ধসে পড়া (এ্যাপ্রোচ) জায়গার পশ্চিম অংশের মালিকানা নিয়ে বিরোধ থাকায় এ্যাপ্রোচের কাজ শেষ হয়নি। বিকল্প এ্যাপ্রোচ ব্যবহার করে যান চলাচল শুরু হয়। এই সড়কটির ওপর দিয়ে উপজেলার রানীগঞ্জ, পাইলগাঁও ও আশারকান্দী ইউনিয়নের জনসাধারণ তথা স্কুল- কলেজ ও মাদ্রাসাগামী ছাত্র-ছাত্রীদের উপজেলা সদরে আসা যাওয়া করতে হয়। পাশাপাশি এ সড়ক দিয়ে পার্শ্ববর্তী ওসমানি নগর-বালাগঞ্জ থানা সদরে উপজেলাবাসী যাতায়াত করেন ।একাধিকবার উল্লেখিত স্থানের মাটি ধসে পড়েছে। অপ্রিয় হলেও সত্য যে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্থানীয় ভাবে কোন কাজ না করে সংস্কারের নামে দায়সারা ভাবে নাম মাত্র কাজ করেছে। কাজের গুনগতমান টেকশই না হওয়ায় এ্যাপ্রোচ ধসে পড়ে।
এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াতকারী বিভিন্ন গ্রামের অনেকেই দৈনিক আগামীর সময়”কে ক্ষোভের সহিত বলেন , এলজিইডি কর্তৃপক্ষের দায়সারা কাজের কারনেই চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছি আমরা। অসংখ্যবার সেতুর এ্যাপ্রোচের ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার ফলশ্রুতিতে দুর্ভোগে পড়েছি। কয়েক মাস সংস্কারহীন অবস্থায় পড়ে থাকা এ্যাপ্রোচে আবারও নামমাত্র কাজ শুরু হয়েছে। একদিকে শুরু হয়েছে, অপর দিকে ধসে পড়ছে। এই হচ্ছে সংস্কার কাজ।
ঘোষগাঁও এলাকার বাসীন্দা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক নুরুল হক, সহ অত্র এলাকার সামছুল ও শাহীন মিয়াসহ পথচারী অনেকে বলেন, এই নলজুর সেতু দিয়ে এখানকার তিনটি ইউনিয়নের হাজার হাজার জনসাধারণ প্রতিদিন ব্যবসা-বানিজ্য সহ অফিস-আদালতের কাজে উপজেলা সদরসহ সুনামগঞ্জ, সিলেট এমনকি দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেন। অপরদিকে উপজেলা সদরের বাসিন্দারা কম সময়ে এ সড়ক দিয়ে ঢাকা- সিলেট মহাসড়কে যাতায়াত করতে পারেন। স্থায়ীভাবে কাজ করে জনদূর্ভোগ নিরসনে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সংশিষ্ট কর্তৃকক্ষের প্রতি আহবান জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। বিদায় এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।
এব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি)এর জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম সারোয়ার বলেন,নলজুর সেতুর ধসে যাওয়া এ্যাপ্রোচের সংস্কার কাজের ট্রেন্ডার ইতিমধ্যে হয়েছে। তারা কিছু দিনের মধ্যে কাজ শুরু করবে। তবে আমরা জনসাধারনের কথা চিন্তা করে ভাঙন স্থানে সংস্কার কাজ শুরু করেছি। কাজ করার ফলে এখন যানবাহন চলাচল করছে।
