কোটা নিয়ে প্রজ্ঞাপন কবে জানেন না মন্ত্রিপরিষদ সচিব

কোটা নিয়ে প্রজ্ঞাপন কবে জানেন না মন্ত্রিপরিষদ সচিব

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন কবে হবে, সেটা জানাতে পারেননি মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম। তিনি জানান, মাসের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়টি আলোচনা হয়নি।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে এই বৈঠকের আলোচ্য বিষয় এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এ সময় অন্যান্য অনেক বিষয়ের পাশাপাশি কোটার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন রাখেন তার কাছে।

জবাবে সচিব বলেন, ‘কোটা নিয়ে কোন আলোচনাও হয়নি এবং কোনো অগ্রগতিও নেই। আগে যে অবস্থায় ছিল তাই আছে।’

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। এই কোটা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবিতে গত ৮ থেকে ১২ এপ্রিল তুমুল আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে ‘কোনো কোটা থাকার দরকার নেই’ বলে তার অবস্থান জানান।

এরপর আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি স্থগিত করলেও এপ্রিলের শেষ দিকে আবার মাঠে নামার হুমকি দেয়। ২৬ এপ্রিল কোটা নিয়ে আন্দোলন করা ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের’ নেতাদের এই হুমকির পরদিন রাতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। তিনি সেদিন জানান, প্রধানমন্ত্রী অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে দেশে ফিরলে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।

৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর ২ মে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন। এই সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়েও কথা বলেন তিনি। জানান, কোটা বাতিলের কথা তিনি ক্ষোভ থেকে বলেননি। ‘নাতির বয়সী’ ছাত্ররা যেহেতু দাবি করছে, তাই তিনি তা মেনে নিয়েছেন। আর এ নিয়ে আর নতুন করে ভাবনার কিছু নেই।

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে কোটার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় কি না, এ নিয়ে দৃষ্টি ছিল আন্দোলনকারীদের।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে বলেছি, আগে যে কমিটি হয়েছিল সেটা কিভাবে আগামীতে রোল প্লে করবে তা বিস্তারিত আমাদেরকে জানানোর জন্য। কমিটি বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি হবে। সেটা আমাদের কাছে আসলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব এবং কমিটি নিয়ে বসব।’

-‘কমিটি গঠন নিয়ে কোন সময় সীমা নির্ধারণ হয়েছে কি না।’

-‘না, এ বিষয়ে কোন টাইমফ্রেম (সময় সীমা) নির্ধারণ করা হয়নি।’

-এ বিষয়ে দ্রুত সমাধান  হবে কি না।’

-‘আমরা আশা করছি। প্রধানমন্ত্রী অনেকদিন বিদেশে ছিলেন। উনি এসেছেন দেখা যাক। উনি দেশের বাইরে থাকার কারণে কাজ বেশি আগায়নি।’

-‘প্রধানমন্ত্রী কোন দিক নির্দেশনা দিয়েছেন কি না’।

– ‘না, না উনি কোন নির্দেশনাও দেননি।’

-‘তাহলে কি সপ্তাহ খানেক বা মাস খানেকের মধ্যে হবে বলে আমরা কি বলতে পারি?’

-‘না, না কঠিন ব্যাপার। এটা বলা যাবে না । তবে এটা কমিটি বসলে বলা যাবে। তবে কমিটি ফর্ম (গঠন) হয়নি। ফর্ম হলে দ্যান (তখন) বলা যাবে।’

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment