ছেলেরা তাদের পুরু ষাঙ্গ নিয়ে অযথাই যে ভুল চিন্তাগুলো করেন!

ছেলেরা তাদের পুরু ষাঙ্গ নিয়ে অযথাই যে ভুল চিন্তাগুলো করেন!

ছেলেরা তাদের পুরু ষাঙ্গ- আমাদের দেশের অবিবাহিত তরুণ-যুবকরা যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তা করে সেটা হলো তাদের পেনিস।

প্রায় হাজার খানেক হবে যেখানে পেশেন্টরা একটা অভিযোগই আমাদের করেছেন যে তাদের পেনিসের গোঁড়া চিকন আগা মোটা এবং এটা নিয়ে তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ।

তাই আজ ভেবেছি এই বিষয়টা নিয়া লিখব এবং প্রকৃত সত্যটা অবিবাহিত তরুণ সমাজের কাছে তুলে ধরব যেন তার ভবিষ্যতে এটা নিয়ে বিভ্রান্ত না হয়।

 

প্যারিসে প্রথমবারের মতো নগ্ন নারীপুরুষ পরিদর্শকদের জন্য চালু হয়েছে একটি জাদুঘর। এর নাম প্যালেইস ডি টোকিও। এই জাদুঘর পরিদর্শন করতে হলে পরিদর্শককে অবশ্যই একেবারে নগ্ন হয়ে গেট দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। শনিবার এমন পরিদর্শকদের জন্য এর গেটগুলো খুলে দেয়া হয়। এদিন এ জাদুঘর পরিদর্শন করেন ১৬০ জন পরিদর্শক। এর মধ্যে আছেন নারী ও পুরুষ। সেখানে যেসব চিত্রকর্ম প্রদর্শন করা হয়েছিল তা বিক্রি হয়ে গেছে দু’দিনের মধ্যে। প্যারিস প্লাস ১৬তম জেলায় এই জাদুঘরটি অবস্থিত। প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্যারিসের পূর্বদিকে বোইস ডি ভিনসেনস পার্ককে গত বছর শহরে নগ্ন মানুষদের এলাকা বলে ঘোষণা দেয়া হয়। সামনেই সেখানে গ্রীষ্মকাল। এ উপলক্ষ্যে ওই পার্কটি আবার খুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু নগ্ন নরনারীদের জন্য জাদুঘরকে বিপ্লবী সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। তারা বলছেন, বিশ্বের সংস্কৃতির রাজধানীগুলোর অন্যতম হবে এটি। প্যারিস ন্যাচারিস্টস এসোসিয়েশনের যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক জুলিয়েন ক্লাউডি-পেনেগ্রি বলেছেন, প্রাকৃতিক জীবন হলো নগ্ন। সংস্কৃতি হলো আমাদের নিত্যদিনের অংশ। তাই এই সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে সেই প্রকৃতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে মানুষের মানসিকতা পাল্টে গেছে। প্রকৃতিপ্রেমীরা অতীতের সব বাধা, প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে এগুচ্ছেন। উল্লেখ্য, এই সংগঠনের মতে, শুধু প্যারিসেই তাদের অনুসারীর সংখ্যা ৮৮ হাজার। পুরো ফ্রান্সে এমন প্রকৃতিপ্রেমের চর্চা করেন ২৬ লাখ মানুষ। উল্লেখ্য, ওই জাদুঘরটির পাশেই এ বছরের শেষের দিকে প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা রয়েছে নগ্ন মানুষদের জন্য একটি নাইটক্লাব।

পুরুষাঙ্গ নিয়ে আপনার মনে এপর্যন্ত যত প্রকার বদ্ধমূল ধারণা তৈরী হয়েছে সবগুলিকেই মন থেকে মুছে ফেলুন এবং নিচের বিষয় গুলি মনোযোগ দিয়া স্মরণ রাখার চেষ্টা করুন।

# পেনিস বা পুরুষাঙ্গ বিষয়ক তথ্যাদি :

*উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষ লিঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য হয়ে থাকে ৪.৭ থেকে ৬.৩ ইঞ্চি। অনেকের মতে পেনিসের গড় দৈর্ঘ্য ৫.১-৫.৯ ইঞ্চি।

*তবে আপনার পেনিস যদি লম্বার সর্বনিম্ন ৪ (চার) ইঞ্চিও হয়ে থাকে তাহলেও আপনার স্ত্রীকে তৃপ্তি দিতে আপনার কোনো সমস্যা হবে না। অনেক বিশেষজ্ঞরা আবার এও বলে থাকেন স্ত্রীকে অরগাজম দিতে মাত্র ৩ ইঞ্চি লম্বা পেনিস হলেই যথেষ্ট।

* বড় পেনিস মানেই বেশি আনন্দ, কথাটা ঠিক নয় । আপনার ডিউরেশন কত সেটাই হলো মূল বিষয়। স্বাভাবিক টাইম ৭-১০ মিনিট।

* পেনিস কখনই একেবারে সোজা হয়না । একটু বাকা থাকেই ।

*পেনিসের গোঁড়া চিকন আগা মোটা এটা কোন সমস্যা নয় । স্কুল জীবন থেকেই রাস্তাঘাটের তথাকথিত হার্বাল, কবিরাজ এবং ভেষজ ডাক্তারদের বিভ্রান্তিকর লেকচার শুনতে শুনতে অনেকের মধ্যেই এ বিষয়ে একটা বদ্ধমূল ভূল ধারণা তৈরি হয়ে আছে ।

*কোন যাদুকরী তেল বা মালিশ পেনিস তেমন বড় করতে সক্ষম নয় । এগুলা ভুয়া । তবে পেনিসের স্নায়ুতন্ত্র সতেজ রাখার বা করার জন্য মালিশ বা ম্যাসেজ ব্যবহার করতে পারেন আমরা যেমন শরীরের ত্বক সতেজ রাখার জন্য সরিষার তেল বা অনান্য প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি।

*বেশি বড় পেনিস হলে মেয়েরা আনন্দ পাওয়ার বদলে ব্যাথা পায় । এমনকি সেটা যৌন আতঙ্কেও রুপ নিতে পারে অনেক নারীদের জন্য।

* ক্ষুদ্র পেনিস বলতে ২.৭৬ ইঞ্চির চেয়ে ছোট পেনিস বুঝায় । সেক্ষেত্রে যথাযথ চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে।

*গোঁড়া চিকন আগা মোটা বা বাঁকা পেনিস যৌনমিলনে কোন সমস্যার সৃষ্টি করেনা । এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।

* পেনিসটাকে নিয়ন্ত্রণ করুন। স্ত্রী ছাড়া অন্য কারো সাথে সহবাস করবেন না।

*স্ত্রী ছাড়াই পেনিস শক্ত এবং দৃঢ হয়ে যায় এমন কোনো কাজ যেমন: বেগানা নারীর দিকে তাকানো, অশ্লীল সাহিত্য পড়া, কম্পিউটার বা মোবাইলে খারাপ কিছু দেখা থেকে বিরত থাকুন।

*৪০ দিনের মধ্য পুরুষাঙ্গের গোড়ার চুল কাটুন।

*আপনার যৌন স্বাস্থের দিকে নজর দিন। এটাও আপনার শরীরেরই অংশ। নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন। কারণ পুরুষরা দৈনন্দিন খাবার দাবার থেকেই তাদের যৌন শক্তি লাভ করে থাকে।

*যৌন সমস্যার ব্যাপারে ভুল করেও কখনো অবহেলা করবেন না। যে কোনো যৌন সমস্যায় কোনো প্রকার সংকোচ না করে তাত্ক্ষণিক ভাবে অভিজ্ঞ একজন হোমিও ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

কারণ অল্প দিনের হোমিও চিকিত্সাতেই আপনার সকল প্রকার যৌন সমস্যা মূল থেকে নির্মূল হয়ে যাবে। তার জন্য ক্ষতিকর ও উত্তেজক হার্বালের মত বার বার আপনাকে ঔষধ খেয়ে যেতে হবে না।

আশা করি কিছুটা হলেও আপনারা বুঝতে পেরেছেন। পেনিস নিয়ে অযথা চিন্তা করে করে সময় নষ্ট করার কোন প্রয়োজন নেই। জগতে চিন্তা করার আরো অনেক বিষয় রয়েছে। ফুটপাতের ভুয়া হার্বাল বা ভেষজ নামধারী ডাক্তারদের কথার বিভ্রান্ত হবেন না।

আপনার কাজে মনোনিবেশ করুন। আপনার কেরিয়ার নিয়ে ভাবুন। আর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যেকোন সমস্যায় আপনার হোমিওপ্যাথের সাথে পরামর্শ করুন। সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন এবং সুখী আনন্দময় যৌন জীবন উপভোগ করুন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment