ঝলসে উঠুন নেইমার, ভেঙ্গে ফেলুন মেক্সিকো প্রাচীর

ঝলসে উঠুন নেইমার, ভেঙ্গে ফেলুন মেক্সিকো প্রাচীর

আর্জেন্টিনা আর পর্তুগাল বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল। এতে অবশ্য কোনও ক্ষতি হবে না। ফুটবলপ্রেমীদের উৎসাহ একই থাকবে। কারণ নতুন নতুন তারকারা উঠে আসছে। এদের খেলা বাংলাদেশী দর্শকরা তো দেখছেই, সারা বিশ্বের লোকও দেখছেন। মেসি গ্রেট, কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু ক্লাব ফুটবলে মেসি যেভাবে খেলেন, নিজেকে উজাড় করে দেন, সেটা বিশ্বকাপে দেখতে না পাওয়ায় ফুটবলপ্রেমীরা হতাশ। আসলে প্রযুক্তির যুগ। কীভাবে একজন বিশ্ব বিখ্যাত খেলোয়াড়কে মার্কিংয়ে রাখতে হয় তা আগে থেকেই ঠিক করে রাখা হয়। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ক্ষেত্রেও একই কথা বলব। আগের খেলায় যেভাবে উনি খেলেছিলেন, স্পেনের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছিলেন, ভেবেছিলাম পর্তুগাল অনেকদূর যাবে। কিন্তু কিছুই পেলাম না। এত বড় একজন ফুটবলারকে নিশ্চুপ মনে হল!‌

আবার বলছি, বিশ্বকাপের জৌলুস কমবে না, উন্মাদনা আরও বাড়বে। বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া, উরুগুয়ে আর ফ্রান্স। এবার এই দেশগুলোর খেলা দেখে মনে হয়েছে, অনেকদূর যাবে। এদের মধ্যে কেউ চ্যাম্পিয়ন হলেও আশ্চর্য হবো না। যদিও ছোট থেকেই আমি ব্রাজিলের ভক্ত। ফুটবল যখন বুঝতে শিখেছি, তখন থেকেই। আজই ব্রাজিলের খেলা। চাই ব্রাজিল ভাল খেলুক। ফাইনালে খেলুক। নেইমার ঝলসে উঠুন।

তবে জার্মানি হেরে যাওয়ায় সত্যিই কিছুটা অবাক। এভাবে বিদায় নেবে আশা করিনি।
পেলে, মারাদোনা ব্যক্তিগত দক্ষতায় দেশকে জিতিয়েছেন। এখন তারকা আছে কিন্তু এত খ্যাতি নেই। খুব সহজেই এদের ব্লক করে দেওয়া যায়। পেলে, মারাদোনার নাম বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের মনে গাঁথা থাকবে। এরা চিরস্মরণীয়।

এবারের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত গতিতে খেলা হলেও, একটা জিনিস লক্ষ্য করছি, খেলোয়াড়রা খুব বেশিক্ষণ পায়ে বল রাখতে পারছেন না। ওয়ান টাচে খেলছেন। দেখতে ভাল লাগছে। আগে দেখতাম, উইং থেকে আক্রমণ হত বেশি। এখন কম হয়। এটাই বোধ হয় এখনকার বৈশিষ্ট্য। থ্রু নেই। সেই ধরনের মিডফিলডার চোখে পড়ছে না।

বিশ্বকাপের সময় পরিবেশ বদলে যায়। পাড়ায়, পাড়ায় উন্মাদনা, আবেগ অন্য মাত্রায় পৌঁছয়। মুগ্ধ করার মতো আবহ। রাত জেগে খেলা দেখছি। আসলে আমি ছোট থেকেই ফুটবল খেলা দেখি।

কারা চ্যাম্পিয়ন হবে বলা মুশকিল। তবে শুধু মাঠের ফুটবল নয়, গ্যালারির দিকে তাকালেও মন ভরে যাচ্ছে। সমর্থকদের উচ্ছ্বাস, টিমের প্রতি ভালবাসা দেখে অবাক লাগছে। টিম হারলে সমর্থকরা কেঁদে ফেলছেন!‌ নকআউট পর্যায়ের খেলা চলছে, এখনও অনেক খেলা বাকি। নিশ্চিত, ফুটবলাররা নিজেদের সেরা ছন্দ দেখাতে ও চেনাতে পারবেন। অনুলিখন মহিবুল্লাহ্ আকাশ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment