ছাতকে ফারুক মিয়া হত্যা মামলা পিআইবিতে স্থানান্তর

হাবিবুর রহমান নাসির ছাতক,সুনামগঞ্জ:

ছাতকে আওয়ামীলীগ নেতা আলোচিত ফারুক মিয়া হত্যাকান্ডের মামলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশনে (পিবিআই)স্থানান্তর করা হয়েছে। শনিবার চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা সরজমিন তদন্ত করেছেন। পিবিআইর এডিশনাল পুলিশ সুপার সারোয়ার জাহানের নেতৃত্বে একটি টিম ফারুক মিয়া হত্যা মামলার তদন্ত কাজ শুরু করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে বাদীর এক আবেদনের প্রেক্ষিতে অধিকতর তদন্তের জন্য এ হত্যা মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আলোচিত ফারুক হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ ও নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে থানা ও আদালতে পৃথক মামলা দায়ের করা হলেও সুবিচার পাওয়া নিয়ে বাদী পক্ষ সন্দিহান ছিল। মামলা নিয়ে থানা পুলিশের ব্যাপক নাটকীয়তা সৃষ্টির কারনে বাদী পক্ষ প্রথম থেকেই সুবিচার পাওয়া নিয়ে আশংকায় ছিল। তবে এখন পর্যন্ত বাদীর দায়েরী মামলায় এজাহারভুক্তদের মধ্যে ৪ আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। উল্লেখ্য উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের পুরান মৈশাপুর গ্রামের মৃত মাষ্টার আব্দুস সাত্তারের পুত্র, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক মিয়া গত ২২জুন রাতে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন। শনিবার গ্রাম সংলগ্ন পাতলাচুড়া বিল থেকে তার ব্যবহৃত রক্তমাখা লুঙ্গি ও জুতা উদ্ধার করে পুলিশ। রোববার একই বিল থেকে পুলিশ ফারুক মিয়ার হাত-পা বাধা ভাসমান লাশ উদ্ধার করে। ফাুরক মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রেহেনা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি অভিযোগ থানায় নিয়ে গেলে থানা পুলিশ বাদীর এ অভিযোগটি গ্রহন করেনি। ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদের নাম বাদ দিয়ে ও এজাহারের ভাষা পরিবর্তন করে বাদীকে থানায় এজাহার দাখিলের পরামর্শ ছিল পুলিশের। কিন্তু নিহতের স্ত্রী বাদী রেহেনা বেগম হত্যাকান্ডের মুল হুতা ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদকে প্রধান আসামী করার পক্ষে অটল থাকায় মামলা দায়েরে অন্তত ৫দিন বিলম্ব হয়। অবশেষে ছাতক থানার এসআই অরূপ সাগর বাদী হয়ে ছাতক থানায় এবং নিহতের স্ত্রী রেহেনা বেগম বাদী হয়ে থানা ও আদালতে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। পরে দু’টি মামলা সংযুক্ত করে তদন্তের জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাদীর অভিযোগ এ মামলায় ৪জন গ্রেফতার করা হলৌ মুল আসামী ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদকে গ্রেফতার করছেনা পুলিশ। মামলার প্রধান আসামী পুলিশের সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা ও সভা-সমাবেশ করে বেড়াচ্ছে। পুলিশের ভুমিকায় সন্দেহজনক হওয়ায় তিনি প্রশাসনের অন্য সংস্থার মাধ্যমে মামলাটি দতন্তের আবেদন করেছন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইর এসআই শহিদুল ইসলাম জানান, শনিবার দুপুরে এ হত্যা মামলার ১ম দফা তদন্ত শেষ করা হয়েছে।##

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment