রোশনির ক্যারিয়ারে মোড় যে ঘটনায়

ভারতীয় টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ রোশনি তন্বী ভট্টাচার্যের ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে ছোট একটি ঘটনা।

এবেলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সে কথাই শুনিয়েছেন জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক, ‘হৃদয়হরণ’র এই নায়িকা।

অভিনয় জগতে ছোট চরিত্রের কলাকুশলী এবং জুনিয়র আর্টিস্টদের অনেক লাঞ্ছনা ও অসম্মানের সম্মুখীন হতে হয়। তেমনই একটি তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলেন তিনি।

রোশনির কথায়, ‘আমি সদ্য ক্লাস টুয়েলভ-এর বোর্ড এক্সাম দিয়েছি, ২০১৫ সাল। আমার মায়ের খুব ইচ্ছে ছিল যে অভিনেত্রী হই। আমি তখন অভিনয় বা এই ইন্ডাস্ট্রির বিষয়ে কিছুই জানতাম না। প্রথমে জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবেই কাজ শুরু করি’।

তিনি বলেন, একটা প্রজেক্টে আমার সঙ্গে কাজ করছিল একটি মেয়ে, তার পায়ে লোহার চেয়ার পড়ে যায়। পা ফুলে গিয়েছিল। আমরা যে ঘরে বসেছিলাম সেখানে ঠান্ডা জল বা বরফ কিছু ছিল না। তাই আমি মেয়েটিকে নিয়ে অন্য একটি মেকআপ রুমে যাই।

রোশনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, সেই ঘরে তখন আর কেউ ছিলেন না। হঠাৎই প্রোডাকশনের একজন লোক এসে আমাদের বলে, ‘তোরা এখানে কী করছিস? চুরি করতে এসেছিস?!’ আমি প্রচণ্ড শক্‌ড হয়েছিলাম। আর সেইদিন আমি নিজেকে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে আমি অনেকটা পরিশ্রম করব, নিজেকে তৈরি করব ভাল কাজের জন্য কিন্তু জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে আর কাজ করব না।

এই একটি ঘটনা রোশনির জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। এর পরে প্রায় দুইবছর তিনি অভিনয় দক্ষতায় শান দিয়েছেন, বিভিন্ন ওয়র্কশপে অংশ নিয়েছেন এবং ধৈর্য ধরে একের পর এক অডিশন দিয়েছেন পড়াশোনার পাশাপাশি।

রোশনি বলেন, আমি কিন্তু ওই ঘটনার আগে সেভাবে ভাবিইনি যে এই পেশায় আসব। আমার পরিবারের সবাই হয় ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়র অথবা কলেজে পড়ান। তাই পড়াশোনা করে কিছু একটা করব ভেবেছিলাম। পরে ২০১৭ সালে ‘দাদা’ অর্থাৎ স্নেহাশিস চক্রবর্তীর সঙ্গে আলাপ হয়।

তিনি বলেন, আমি জানতাম না যে উনি আমাকে ‘হৃদয়হরণ’-এর নায়িকার চরিত্রে ভাবছেন। আমি অশেষ কৃতজ্ঞ তার কাছে এবং জি বাংলার কাছে।

জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে যাকে অপমানিত হতে হয়েছিল একদিন, সেই মেয়েই এখন বাংলা টেলিজগতের সর্বত্র আলোচনার বিষয়। রোশনি বলেন, হয়তো ওইদিন ওইভাবে অপমানিত না হলে নিজেকে অনেকটা উপরে নিয়ে যাওয়ার জেদটা তৈরি হতো না।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment