দিল্লিতে ‘বাংলা সিনে উৎসব ২০১৮’এর উদ্বোধন

জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিক সূচনা হল ‘বাংলা সিনে উৎসব ২০১৮’এর। শুক্রবার সন্ধ্যায় দিল্লির মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে তিন দিনব্যাপী এই উৎসবের সূচনা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলি, অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, অভিনেতা রাহুল ব্যানার্জি, পরিচালক ইন্দ্রাশিস আচার্য প্রমুখ।
বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত একাদশ তম বাংলা সিনে উৎসবে প্রখ্যাতদের পাশাপাশি নতুন পরিচালকদের তৈরি দশটি পূর্ণ্য দৈর্ঘ্যরে ছবি, দশটি স্বল্প দৈর্ঘ্যরে বাংলা ছবি দেখানো হবে।
পূর্ণ্য দৈর্ঘের বাংলা ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে ‘ময়ুরাক্ষী,’ ‘পিউপা,’ ‘ভালবাসার বাড়ি,’ ‘হামি,’ ‘রেনবো জেলি,’ ‘বেঁচে থাকার গান,’ ‘বাবার নাম গান্ধিজী,’ ‘আহারে মন’ এবং ‘মাছের ঝোল’ প্রমুখ। অন্যদিকে স্বল্প দৈর্ঘ্যরে বাংলা ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে ‘প্রবাসে,’ ‘গিরিশ ঘোষ,’ ‘ভানু সিংহ,’ ‘চোর,’ ‘মেঘনাদ বধ রহস্য,’ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে কেজরিওয়াল জানান ‘বাংলার সংস্কৃতি খুবই উচ্চমানের এবং ভাষাও খুবই মিষ্টি। গত ৬০ বছর ধরে বাঙালি অ্যাসোসিয়েশন বেঙ্গল অ্যাকাডেমি গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে। আমরা সেই অ্যাকাডেমি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি যে দিল্লিতে বসবাসকারী প্রায় ৫০ লাখের বেশি বাঙালিদের কাছে এটা একটা ভাল সংবাদ, কারণ খুব শিগগির তারাও বেঙ্গল অ্যাকাডেমি পেতে চলেছে। এসম্পর্কিত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে এবং আমি নিশ্চিত যে আগামী বছর এই বাংলা সিনে উৎসব আরও বড় আকারে করতে পারবো’।
উদ্বোধনের দিনই প্রদর্শিত হয় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত অভিনীত ছবি ভালবাসার বাড়ি এবং ছবিটি যথেষ্ট প্রশংসিতও হয়। এ ব্যাপারে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে সত্যিই গর্বিত। এটা ভেবে ভাল লাগছে যে দিল্লিতে এত পরিমাণে চলচ্চিত্র প্রেমী মানুষ রয়েছেন। আমাদের সিনেমাগুলিকে এখানে দেখানোর জন্য তারা যদি আামার সহায়তা চায় তবে সবসময়ই আমি বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশন’এর পাশে থাকবো।’
আগামী ১২ আগষ্ট শেষ হবে এই বাংলা সিনে উৎসব-২০১৮। উৎসবের সমাপনী ছবি হিসাবে দেখানো হবে ‘মাছের ঝোল’ ছবিটি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment