স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গাড়িকে ধাক্কা দেওয়া বাসের চালক-হেলপার রিমান্ডে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গাড়িকে ধাক্কা দেওয়া বাসের চালক-হেলপার রিমান্ডে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের গাড়িতে ধাক্কা দেওয়া নিউ ভিশন পরিবহনের বাসটির চালক ও হেলপারকে চারদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

শনিবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমীন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বেপরোয়া গতিতে বাস চালিয়ে ক্ষতিসাধনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন ট্রাফিক পরিদর্শক এখলাসুর রহমান। এদিকে দুর্ঘটনার সময় বাসটির চালক ইব্রাহিম খলিল ‘বিশ্রামে’ ছিলেন বলে জানা গেছে।

ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) লিটন কুমার সাহা সমকালকে বলেন, দুর্ঘটনার সময় বাসটি চালাচ্ছিলেন হেলপার মানিক। চালক বাসেই ছিলেন। ঘটনার পরপরই তাদের গ্রেফতার করা হয়। বাসটি জব্দ করে ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এলাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গাড়িকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় একটি বাস। ওই সময় মন্ত্রী হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে নাখালপাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। আর বাসটি যাচ্ছিল মিরপুর থেকে মতিঝিলের উদ্দেশে। সড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে চলমান ট্রাফিক সপ্তাহের ষষ্ঠ দিনে এ ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার রাতে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার সমকালকে বলেন, বাসের ধাক্কায় গাড়ির সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা অন্য কেউ আহত হননি। দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজনকে দেখতে শুক্রবার রাতে সেখানে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রোগী দেখে বের হওয়ার পর ঘটে এ দুর্ঘটনা। সেখানে উপস্থিত ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন।

শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ সমকালকে বলেন, ওই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গাড়ির রং চটে গেছে। আনুমানিক ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন সমকালকে বলেন, ঘটনার সময় কেন মূল চালক ইব্রাহিম খলিলের পরিবর্তে হেলপার মানিক বাসটি চালাচ্ছিলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তখন চালক বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তার অনুমতি নিয়ে বাসটি চালাচ্ছিলেন হেলপার। যদিও তার কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment