বাতের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার ঘরোয়া উপায় | দৈনিক আগামীর সময়

বাতের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার ঘরোয়া উপায় | দৈনিক আগামীর সময়

উঠতে ব্যথা, বসতে গেলেও ব্যথা। বাতের ব্যথা বোঝে শুধু সেই জনে, যে জন বাতের ব্যথায় কাবু। আগে এই রোগটি শুধুই বয়স্কদের ছিল। এখন আট বছরের বাচ্চাও বিছানা নিচ্ছে ব্যথার চোটে।

বাতের সমস্যা অনেক কারণে হতে পারে। অনিয়মিত জীবনযাপন, বংশগত, অন্য বিভিন্ন রোগের প্রভাবে, এছাড়া আরও অনেক কারণে বাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ব্যথা কাঁঠালের আঠার মতো এতটাই জোরালো যে অনেক ওষুধ খেয়েও মুক্তি পান না অনেক মানুষ।

এমন কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা মানলে বাতের কষ্ট থেকে কিছুটা রেহাই পেতে পারেন। জেনে নিন উপায়গুলো–

ব্যথা, যন্ত্রণা কমানোয় দারুণ উপকারী ব্যায়াম। মারাত্মক ব্যথা হলে একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তিনিই বিভিন্ন ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনার কষ্টের উপশম ঘটাতে পারবেন।

চিকিৎসকদের মতে, বাত সাধারণত আমাদের দুটো হাড়ের সংযোস্থলে হয়ে থাকে। তাই ছোটবেলা থেকেই হাড়ের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। এর জন্য ভিটামিন সি বা ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। বিশেষ করে দুধে ক্যালসিয়াম প্রচুর থাকে। তাই এক গ্লাস দুধ ছোট থেকে খেলে পড়ে হাড়ের ক্ষয় কম হবে। ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।

বাতের ব্যথা কমাতে প্রচুর পরিমাণে তাজা শাক–সবজি, ফল খাওয়া খুব জরুরি। বদলে মিহি চিনি, শস্যদানা, রিফাইন্ড অয়েল এবং ট্রান্স ফ্যাট খাওয়া বন্ধ করতে হবে। এবং অতিরিক্ত লবণ খাওয়া ছাড়তে হবে।

বাতের ব্যথায় কষ্ট পেলেও অস্থির না হয়ে মনকে শান্ত রাখতে হবে। উত্তেজিত হলে কষ্ট বাড়ে। তাই মন এবং মস্তিষ্ককে শান্ত রাখতে যোগাসন অভ্যাস করুন।

আমরা সকলেই জানি, হলুদ স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। ব্যথা, যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে রোজ সকালে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন।

কী করবেন আর কী করবেন না:

অস্থিসন্ধি বা জয়েন্ট মুভমেন্ট করবেন। সারাক্ষণ শুয়ে বা বসে থাকবেন না। দরকারে ফিজিওথেরাপিস্ট–এর থেকে জেনে নিন কোন ভঙ্গিতে শুলে বা বসলে আপনি আরাম পাবেন।

বেশি বিশ্রাম বা বেশি পরিশ্রম কোনটাই করবেন না।

. ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিয়ে হালকা ব্যায়াম করুন। দৌড়ানো, লাফানো, টেনিস খেলা আপনার জন্য নয়|ব্যথা কমাতে মুঠো মুঠো পেন কিলার খাবেন না। ডাক্তারবাবুকে দেখিয়ে অল্প ওষুধ খান। আবার বাতের ব্যথা কমে না বলে চিকিৎসা করবেন না এমনটাও করবেন না।

. ব্যাটের ব্যথার সঙ্গে ডিপ্রেশন জড়িয়ে থাকে সবসময়। তাই আগে মনের ব্যথা সরান। তাহলেই শরীরের ব্যথা অনেক কমবে আসবে।

. অনেক সময় ঠাণ্ডা গরম সেঁক দিলে ব্যথা কিছুটা কমে। এই পদ্ধতি মেনে দেখতে পারেন। তবে রোজ দিনে দু’তিনবার এই সেঁক দিতে হবে।

. চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নানা ধরনের ব্যথা কমানোর জেল দিয়ে মাসাজ করাতে পারেন।

. যাবতীয় নেশার জিনিস থেকে দুরে থাকুন। রাত জাগবেন না। অল্প খান। বাইরের খাবার না খাওয়াই ভালো। এতে গ্যাস–অম্বল কম হবে। তার থেকেও কিন্তু শরীরে ব্যথা হয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment