ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি স্থাপন করা হয়েছে হাতে আঁকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশাল একটি প্রতিকৃতি।
জাতির পিতার সবচেয়ে বড় প্রতিকৃতি আঁকার কাজটি করেছে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ। এই প্রতিকৃতির নকশা তৈরি করেন ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভের শিক্ষক শাহজাহান আহমেদ বিকাশ; মূল চিত্র অংকনে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহকারী অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ টুটুল।
https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1529784.bdnews
বিশাল এই আয়োজনে রয়েছে দুটি বড় ভুল।
১. ছবিতে বঙ্গবন্ধুর মুখের তিল বা আঁচিলটি (Mole) দেখানো হয়েছে তার মুখের ডান পাশে। কিন্তু সেটি আসলে হবে বঙ্গবন্ধুর মুখের বাঁ পাশে।
আওয়ামী লীগের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর ভিডিও থেকে নেওয়া নিচের ছবিতে বিষয়টি স্পষ্ট।
২. ছবির পাশে একটি কবিতার চারটি লাইন লেখা হয়েছে এভাবে-
যতকাল রবে পদ্মা, মেঘনা
গৌরী, যমুনা বহমান
ততকাল রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির পাশে অন্নদাশঙ্কর রায়ের কবিতাটি ব্যবহার করতে গিয়ে প্রথম দুটি লাইন বদলে ফেলা হয়েছে।
মূল কবিতায় যেখানে ‘পদ্মা, যমুনা’ আর ‘গৌরী, মেঘনা’ ছিল, এখানে তা লেখা হয়েছে ‘পদ্মা, মেঘনা’ আর ‘গৌরী, যমুনা’।
অন্নদাশঙ্কর রায়ের শালি ধানের চিঁড়ে (শ্রাবণ, ১৩৭৯) বই থেকে কবিতাটি অবিকৃত অবস্থায় প্রকাশ করা হয়েছে বাংলা একাডেমী প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু নানা বর্ণে নানা রেখায়’ বইয়ের ৯৭ পৃষ্ঠায় (প্রকাশকাল মার্চ , ২০১৬; সম্পাদক শামসুজ্জামান খান)। সেই পৃষ্ঠার ছবি এখানে দেওয়া হল।
জাতির পিতাকে নিয়ে এত বড় একটি ডিসপ্লেতে এরকম গুরুত্বপূর্ণ ভুল প্রচারিত হচ্ছে সকলের চোখের সামনে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি বঙ্গবন্ধুর অন্তত একটি ভিডিও দেখতেন এবং কবিতাটি মিলিয়ে নিতেন, তাহলে এ ধরনের ভুল, যা বিকৃতিরই নামান্তর, তা থেকে নতুন প্রজন্ম রক্ষা পেত।