লিভার বাঁচাতে এড়িয়ে চলুন…

আপনার দেহের অভ্যন্তরে যে প্রত্যঙ্গগুলো সবচেয়ে বেশি কর্মঠ তার মধ্যে একটি লিভার বা যকৃৎ। এর যতটা যত্ন দরকার তা প্রদান করা হয় না। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং ভুল খাবার বাছাইয়ের কারণে বরং লিভারের বারোটা বাজানো হয়। এখানে এমন কিছু খাবারের কথা বলা হলো যেগুলো আপাতদৃষ্টি স্বাস্থ্যকর বলেই মনে হয়। এদের বেশ উপকারিতাও আছে। কিন্তু এসব খাবার লিভারের জন্যে ক্ষতিকর বলেই মনে করেন অনেক স্বাস্থ্যবিশারদ।

টিনজাত সবজি 
আমাদের দেশে এই খাবার তেমন জনপ্রিয় নয়। তবে কর্মজীবী এবং ব্যস্ত মানুষরা প্রায়ই খুঁজে থাকে টিনজাত সবজিসহ অন্যান্য খাবার। ক্যানের সবজি কিংবা স্যুপে থাকে প্রচুর পরিমাণে লবণ। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন লবণ গ্রহণের পরিমাণ ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৪০০ মিলিগ্রামের মধ্যে রাখতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এক হিসেবে দেখা যায়, যারা একটু বেশি বেশি টিনজাত খাবার খায় তাদের দেহে সর্বোচ্চ ১০ হাজার মিলিগ্রাম পর্যন্ত লবণ প্রবেশ করে। অতিমাত্রায় লবণ লিভারের জন্যে খুবই ক্ষতিকর।

শুকনো ফল
অনেক গবেষণাতেই শুকনো ফলের নানা গুণের কথা তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু আরো কিছু গবেষণায় এগুলো লিভারের জন্যে ক্ষতিকর হিসেবে উঠে এসেছে। তবে অবশ্যই শুকনো ফল ক্যান্ডি বা এমন চিনিপূর্ণ খাবারের মতো হুমকি নয়। শুকনো ফলে উচ্চমাত্রায় ফ্রুকটোজ থাকে। এগুলো রেজিন, ফ্রুট জুস ইত্যাদি নামে পরিচিত পেয়েছে। ফ্রুকটোজ সহজে দেহে ভাঙে না। তখন তা লিভারে ফ্যাট হিসেবে জমা হতে থাকে। ইনফ্লামেশনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অতিরিক্ত ফ্রুকটোজ লিভারে অস্বাভাবিকমাত্রায় ফ্যাট বৃদ্ধি করে।

চিনিপূর্ণ পানীয় 
খাবারের দোকানে মেলা ফলের জুস খেতে কার না ভালো লাগে। কিন্তু এসব লিভারের স্বাস্থ্যের হুমকি। বেভারেজ বা চিনিপূর্ণ পানীয়তে সেই একই জিনিস ফ্রুকটোজ থাকে। লিভারের কর্মক্ষমতা নষ্ট করে এগুলো। জনপ্রিয় সফট ড্রিংকসও ফ্রুকটোজে পূর্ণ। বলা হয়, এগুলো পান করলে ওজন বাড়ে। এটা দৃশ্যমান। কিন্তু ভেতরে যে লিভারটাকেও শেষ করে দেয় তা চোখে পড়ে না।

প্রক্রিয়াজাত মাংস 
এগুলো ডেলি মিট, লাঞ্চ মিট বা স্লাইসড মিট নামেও পরিচিত। প্রিয় স্বাদের খাবার হোক কিংবা শখের বশে হোক, অনেকেই এই প্রক্রিয়াজাত মাংস পছন্দ করেন। কিন্তু এমন মাংসে থাকে প্রচুর সোডিয়াম। এর মাত্রা ভয়ংকর পর্যায়ে থাকে। এ খাবার উচ্চ রক্তচাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। লিভারে অতিরিক্ত তরলে সৃষ্টি করে। লিভার একে সামলাতে পারে না। পাশাপাশি এসব মাংসে থাকে সম্পৃক্ত ফ্যাট বা ট্রান্স ফ্যাট। থাকে প্রিজারভৈটিভ। ট্রান্স ফ্যাট এবং সম্পৃক্ত ফ্যাট নন-অ্যালকোহলিক লিভার ডিজিস (এনএএলডি) এর জন্যে দায়ী। লিভার নষ্ট হতে থাকে ধীরে ধীরে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment