বিআইডব্লিউটিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান সামসুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জের সরকারি জমি দখলের অভিযোগ

 বিপ্লব ঘোষ,ঢাকা জেলা প্রতিনিধি.

পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহা-পরিদর্শক ও বিআইডব্লিউটিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান ড. সামসুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিস সংলগ্ন প্রায় ২৭ শতাংশ সরকারি সম্পত্তি দখল করে স্থাপনা নির্মাণে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তাগণ। উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও স্থানীয়দের অভিযোগ, নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পশ্চিম পাশের্^ অবস্থিত ও উপজেলা ভূমি অফিস সংলগ্ন, কাশিমপুর মৌজার ২৭৯ ও ২৮০ এসএ দাগের প্রায় ২৭ শতাংশ ‘ক’ তফসিলভুক্ত সরকারী সম্পত্তি সামসুদ্দোহা খন্দকার ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন ঝিলু দখলের অপচেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। উপজেলা ভূমি অফিস সূত্র ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, গত শনিবার সকাল থেকে সামসুদ্দোহা খন্দকারের লোকজন সরকারী জমিটি দখলে নিতে সীমানা দেয়াল নির্মাণের চেষ্টা করে। উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে বাধা দিলে তাদেরকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়। এমনকি ‘ইউএনও এবং এসিল্যান্ডের চাকুরী কিভাবে থাকে’ তাও বলেন পুলিশের সাবেক এই কর্মকর্তা। এ ঘটনা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই উপজেলা সদরে বিষয়টি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সূত্র জানায়, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু গোপনীয়ভাবে জনৈক মহসীন শরীফের নিকট থেকে সরকারী ‘ক’ তফসিল ভুক্ত ১২ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করেন। এছাড়া মহসীন শরীফের ওয়ারিশান ও মাহবুব নামক আরেক জন ক্রেতার নিকট থেকে সাড়ে ১৫ শতাংশ জমি কিনে নেন সামসুদ্দোহা খন্দকার। তিনি এখন দুটি দাগের সাড়ে ২৭ শতাংশ জমি দাবী করছেন। এ জমিটি দখলে নিতে গেলেই বিষয়টি সকলের মাঝে জানাজানি হয়। ঘটনাটি উপজেলা প্রশাসন ও ভূমি অফিসের নজরে আসলে তাদের টনক নড়ে। অন্যদিকে, এ বিষয়ে সোমবার বেলা ১২টায় ইউএনও অফিসে কাগজপত্র ও প্রমাণাদি নিয়ে বসলে স্থানীয় গন্যমান্যদের সামনে আলোচনা হয়। এক পর্যায়ে কাগজপত্রে জমিটি ‘ক’ গেজেট থাকায় সরকারী সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হলে সামসুদ্দোহা পক্ষ ট্রাইবুনালে মামলা করার কথা বলে উঠে যায়। এঘটনায় প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বেহাত হতে পারে এমন আশংকায় এলাকাবাসীও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে সামসুদ্দোহা খন্দকার বলেন, ব্যক্তি মালিকানার কাগজপত্রের ভিত্তিতে তিনি ন্যায্য মূল্যে জমিটি ক্রয় করে নিয়েছেন। এছাড়া ভূলবশত এ সম্পত্তি ‘ক’ গেজেটে নথিভুক্ত হওয়ায় সরকারই এর জন্য দায়ী। তাই তারাই কিভাবে এটা সংশোধন করে দিবেন বিষয়টি তাদের। আমি বেআইনী ভাবে কোনো জমি দখলে যাইনি। এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু’র মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বার বার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। নবাবগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘ক’ তফসিলভুক্ত জমি কারো ব্যক্তিগত ভাবে ক্রয় বিক্রয়ের অধিকার নাই। এখানে সরকারী অনেক স্থাপনা রয়েছে। হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, খন্দকার সামসুদ্দোহা তাদেরকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে চাকুরী হারানোর ভয় ভীতি দেখাচ্ছেন। তবে সরকারের স¦ার্থে তারা এ জমি কাউকেই দখলে নিতে দিবেন না।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment