লিগ ওয়ানে দাপট দেখানো পিএসজি চ্যাম্পিয়নস লিগে এখনও ‘শিশু’। ফ্রেন্স লিগে ‘বাঘ’ তারা। কিন্তু ইউরোপের প্রতিযোগিতায় সেরা হতে এখনও অনেক কিছু দরকার তাদের। নেইমার-এমবাপ্পে, কাভানি-ডি মারিয়া থাকলেও কোথাও একটা খামতি আছে। না হলে চ্যাম্পিয়নস লিগকে লক্ষ্য ধরা পিএসজি কেনো হোঁচট খাবে। এবারের ইউরোপের প্রতিযোগিতা লিভারপুলের কাছে হারে শুরু তাদের। রেডস্টারের কাছে জিতলেও নাপোলির বিপক্ষে হারতে হারতে মান বাঁচানো ২-২ গোলের সমতা পিএসজির।
প্যারিসে বুধবার বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল পিএসজির। কিন্তু পুরোটা সময় ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ ছিল নাপোলির। ইতালির অন্যতম সেরা দলটি যে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে ফিরতে পারেনি তা তাদের দূভাগ্য বলতে হবে। অবশ্য কৃতিত্ব দিতে হবে শেষ সময়ে পিএসজির স্বস্তির গোল এনে দেওয়া ডি মারিয়াকে। ম্যাচের ৯৩ মিনিটে গোল করে তিনি টমাস টাখেলের চাকরি নিয়ে প্রশ্ন ওঠা থেকে বাঁচিয়েছেন।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের সেরা কোচদের চাকির নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। ম্যানইউয়ের মরিনহো, রিয়ালের লোপেতেগুই কিংবা বার্য়ান কোচ। সেই তালিকায় যোগ হতো টাখেলের নাম। পিএসজির সমতা ফেরানো একটি গোল করেছেন ডি মারিয়া। অন্য গোলটি নাপোলি গোলরক্ষক রুইয়ের আত্মঘাতী। ওই গোল না হলে ঘরের মাঠে হারতে হতো তাদের।
ম্যাচের ২৯ মিনিটে ইনসিগনির গোল এগিয়ে যায় ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলি। এরপর ৬১ মিনিটে আত্মঘাতী গোল খেয়ে সমতায় চলে আসে নাপোলি। কিন্তু সফরকারীদের বেশি সময় চাপে রাখতে পারেনি পিএসজি। কারণ ৭৭ মিনিটে আবার গোল করে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় নাপোলি। এরপর হার দেখছিল পিএসজি। কিন্তু ত্রাতা হয়ে আসেন ডি মারিয়া। তিনি ৯৩ মিনিটে গোল করে সমতা করেন ম্যাচে।
চ্যাম্পিয়নস লিগে পিএসজি-নাপোলির গ্রুপে থাকা লিভারপুল ৪-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে রেডস্টার বেলগ্রেডের বিপক্ষে। গোল পেয়েছেন লিভারপুলের ত্রিফলা সালাহ, মানে ও ফিরমিনো। তবে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে গিয়ে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ।
