প্রকৃতিতে একটু একটু করে অনুভূত হচ্ছে শীতের আমেজ। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টাতে নানা ধরনের অসুখ বিসুখ হানা দেয় শরীরে।এ কারণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা জরুরী। এক্ষেত্রে আমলকী হতে পারে দারুন ওষুধি। এতে থাকা ভিটামিন সি, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং সোডিয়াম শরীর চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আমলকী রাখলে শরীরের নানা উপকার হয়। যেমন-
১. আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত এক গ্লাস আমলকীর রসে পরিমাণ মতো আদা এবং মধু মিশিয়ে খেলে তা গলা ব্যথা কমায়।সেই সঙ্গে কফ এবং সর্দি-কাশির প্রকোপ কমাতেও ভুমিকা রাখে।
২. আমলকীতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানও বের করে দেয়।
৩. নিয়মিত আমলকী খেলে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে।
৪. আমলকী হজমশক্তি বাড়ায়।
৫. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকী সংক্রমণের আশঙ্কা কমায়। সেই সঙ্গে ঋতু পরিবর্তনের সময় সর্দি-কাশির ভয়ও দূর করে।
৬. আমলকীতে থাকা ক্রোমিয়াম রক্তে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার সুযোগ পায় না। এ কারণে এটি ডায়াবেটিসের জন্যও উপকারী।
৭. প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় আমলকী ক্যান্সার সেল বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে।
৮. আমলকীতে উপস্থিত একাধিক অ্যান্টি-এজিং উপাদান শরীরে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না।
৯. শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায় আমলকী।
১০. আমলকিতে এমন কিছু খনিজ এবং উপকারী ভিটামিন আছে, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র ত্বকের পানির ঘাটতি দূর করে, সেই সঙ্গে পুষ্টির চাহিদাও মেটায়। ফলে ধীরে ধীরে ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।