জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টের একাদশ আর বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের একাদশে যে পরিবর্তন থাকছে তা জানা সবার। ওপেনার লিটন দাস যেমন ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে স্কোয়াডেই সুযোগ পাননি। তাই তার জায়গায় নতুন একজন ঢুকতে যাচ্ছেন একাদশে।
ওদিকে সাকিব আল হাসান ফিরেছেন। এখনো প্রথম টেস্টে তার খেলা নিয়ে শতভাগ নিশ্চয়তা নেই। তবে তিনি ফিরলে রদবদল হবে আরো। তা কেমন হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের কম্বিনেশন?
টেস্ট একাদশ নিয়ে এখনো ভাবনা চলছে বাংলাদেশ দলে। তবে অভিজ্ঞতাকে প্রধান্য দিয়েই কম্বিনেশন ঠিক করতে চায় বাংলাদেশ দল। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান জানিয়ে গেলেন সেটিই।
সাকিব বলছেন, ‘চেস্টা করবো যারা একটু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় তাদের সুযোগটা যেন বেশি থাকে। আমি সব সময় বিশ্বাস করি টেস্ট ম্যাচ একটু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকলে অনেক বেশি হেল্পফুল হয়। তারপরও এখনো আমরা এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেই নি যে কোন ধরণের কম্বিনেশন নিয়ে আমরা খেলতে নামবো।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটি ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস দুজনই ব্যর্থ ছিলেন। তবে ওয়ানডে সিরিজে ভালো করায় ইমরুল টিকে গেছেন ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। এদিকে সৌম্য সরকার ফিরেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করে সাদমান ইসলামও সুযোগ করে নিয়েছেন স্কোয়াডে।
ইমরুল, সৌম্য ও সাদমান- এই তিনজনের মধ্যে আসলে কোন দুজন সুযোগ পাবেন প্রথম টেস্টে। সাকিবের কথায় পাল্লা ভাবি থাকছে ইমরুল-সৌম্য জুটির উপর, ‘ইমরুল ওয়ানডে সিরিজে ভালো খেলেছে। টেস্ট সিরিজে হয়তো অতটা ভালো করেনি। যেহেতু ওয়ানডেতে ও এতো ভালো ফর্মে ছিল, আমার কাছে মনে হয় ও সুযোগ পেলে ভালো করবে। সাদমান প্র্যাকটিস ম্যাচে খুব ভালো করে আসছে। সৌম্যও কামব্যাক করেছে খুব ভালোভাবে। তিন জনেরই খুব ভালো সুযোগ আছে।’
‘যারাই একাদশ নির্বাচন করবে, আমি হই, কোচ হোক বা নির্বাচকরা, একটু গাট ফিলিংয়ের মধ্যেই সিলেক্ট করতে হবে। একটু ধারণা করতেই হবে কে নির্দিষ্ট টেস্ট ম্যাচে আমাদের হয়ে বেশি অবদান রাখতে পারবে।’- যোগ করেন সাকিব।
এদিকে একাদশে নিজের থাকা না থাকা নিয়ে সাকিব বলছেন, ‘৫ দিন খেলাটা কত চ্যালেঞ্জিং হবে, আমরা সবাই জানি, যদি ৫ দিনে খেলা যায়। এ কারণেই আসলে এখনও একটু হলেও সংশয় আছে যে ওই অবস্থায় এখনও এসেছি কিনা। কারণ সব মিলিয়ে ট্রেনিং করেছি মাত্র ৪ সেশন, তার মধ্যে ২ দিনই ছিল ঐচ্ছিক। দেখা যাক, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আসলে অপেক্ষা করতে হবে খেলছি কিনা এটার জন্য।’
১৪ সদস্যের বাংলাদেশ দল :
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিথুন, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহীম, আরিফুল হক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, তাইজুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, নাঈম হাসান, সাদমান ইসলাম।