বিএনপি থেকে অনেকেই আ’লীগে যোগ দিতে আগ্রহী: কাদের

বিএনপি থেকে অনেকেই আ’লীগে যোগ দিতে আগ্রহী: কাদের

বিএনপি থেকে অনেকেই আওয়ামী লীগে যোগ দিতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বুধবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী দিনে দল বদলের রাজনীতির কোনো চমক আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঘোড়া বদলের যে রাজনীতি, এটা গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে নতুন কোনো বিষয় নয়। নতুন কোনো দৃশ্যপটও নয়।’

‘নির্বাচনে কে কোন দিকে অবস্থান নেবে? অলরেডি তো অনেকেই দলবদল করেছেন। আমরা কিন্তু এখনো আমাদের নেত্রীর ক্লিয়ারেন্স পাইনি। বিএনপি থেকে কত আসে দেখুন। একটু সবুজ সংকেত দিলেই সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীর যে স্রোতধারা আওয়ামী লীগ অভিমুখে যাত্রা করবে, এই যাত্রা মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব বন্ধ করতে পারবে না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গত ৪৩ বছরে এই দেশে নেত্রীর মতো ভাল মানুষ আছেন? দেশের ক্ষমতায় তিনি আবারও ফিরে আসুন, এটা জনগণের প্রত্যাশা। যেকোন দেশী-বিদেশী জনমত জরিপে আমরা অনেক এগিয়ে আছি। আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা আমাদের নেত্রীর চেয়ে একটু কম হলেও নেত্রী আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। তিনি এখন জনপ্রিয়তার অভ্রভেদী তুঙ্গে অবস্থান করেছেন, তার ধারে কাছেও কেউ নাই। কাজেই আমরা আশাবাদী ইনশাল্লাহ নৌকার বিজয় হবে।’

কাদের বলেন, ‘বিজয়ের মাসে নৌকা ভাসতে ভাসতে বিজয়ের বন্দরে গিয়ে ঠেকবে, এটাই আমরা প্রত্যাশা করছি। আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরাও কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই আবার ফিরে আসুক আশা করছেন।’

আগামী জাতীয় নির্বাচন থেকে বিএনপি সরে যাবে এমন আশঙ্কা আপনারা করছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এই আশঙ্কা এই মুহুর্তে করতে চাই না। কারণ আমরা একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই। ইলেকশনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক, ইলেকশনে যদি কম্পিটিশন না থাকে তাহলে রেজাল্টের কোন মজা নাই।’

তিনি বলেন ‘বিএনপি এর মধ্যেই টের পেয়েছে যে, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ভোট হলে তাদের নির্বাচিত হওয়ার কোন সুযোগ নেই। কারণ তাদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে দেশের জনগণ বিরক্ত। তারা এখনো নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। সেটা তারা প্রমাণ করেছে তফসিল ঘোষণার পর পল্টনে পুলিশে উপর হামলা চালিয়ে।’

নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিভিন্ন দলের অভিযোগের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘তারা একটি স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে সক্ষম হবে। আমার বিশ্বাস ভাল একটা নির্বাচন হবে। অহেতুক তারা এসব অভিযোগ করছে এবং তারা অভিযোগ করতেই থাকবে যতক্ষণ না তারা জেতার নিশ্চয়তা পায়।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment