পিরিয়ডের দাগই তো, কাউকে খুন তো আর করনি!

কোরিয়ান এক ভদ্রমহিলার কাজ সেরে বাস এ করে বাড়ি ফেরার পথে পিরিয়ড শুরু হয়! স্কার্ট ভেদ করে রক্তের দাগ বাস এর সিটে লেগে গেলে মহিলা খুব অস্বস্তিতে পড়ে যান!

মহিলার সহযাত্রী ভদ্রলোক পুর ঘটনাটা নোটিশ করেন এবং কিছু না বোঝার ভান করে নিজের হাতে থাকা স্ট্রবেরী জ্যুস এর কিছুটা মহিলার স্কার্ট এ ফেলে দেন!

তারপর সরি বলতে বলতে নিজের ব্লেজার টা এগিয়ে দিয়ে বলেন ভেজা অংশ কভার করে বাস থেকে নেমে যেতে! পরে কোনদিন ব্লেজার ফেরত দিলেই হবে!

মহিলা বাড়ি ফেরার পরে বুঝতে পারেন লোকটা আসলে তাকে পিরিয়ডের লজ্জা থেকে বাঁচাতে তার গায়ে জুস ফেলেছিল!

ঠিক এরকমই আরেকটি ঘটনা সম্প্রতি আমাদের দেশে ভাইরাল হয়েছে।

একজন মা তার সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে লিখেছেন আজ স্কুল থেকে বাসে করে বাড়ী ফেরার সময় আমার মেয়ের প্রথম পিরিয়ড স্টার্ট হয়। তার স্কার্টে দাগ দেখে একটা ছেলে তার কাছে এগিয়ে আসে এবং তাকে এক কোনে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে কানে কানে বলে, তার ড্রেস এ দাগ লেগেছে। তারপর নিজের সোয়েটারটা এগিয়ে দিয়ে বলে ওটা কোমরে বেধে নিতে।

মেয়েটা অস্বস্তি বোধ করলে সে আশ্বস্ত করে, বলে,লজ্জার কিছু নেই,আমারও বোন আছে, আমি জানি এটা স্বাভাবিক।

মেয়েটির মা এরপর সেই ছেলের মাকে উদ্দেশ্য করে লেখেন- সঠিক ভাবে পুত্রকে মানুষ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আমার পুত্রকেও আমি সঠিক পুরুষ বানাতে চাই,এবং শেখাতে চাই,কাপড়ে কাদা লাগলে যেমন গোপন করার বিষয় থাকেনা,তেমনি পিরিয়ডের দাগ ও গোপন করার কোন বিষয় না!

কোনো পুরুষ যদি এরকম অস্বস্তিতে কোন মেয়েকে দেখে তাহলে যেন বলে, লজ্জা কেন পাচ্ছ? পিরিয়ডের দাগই তো, কাউকে খুন তো আর করনি!

একটা বিশেষ ধরনের শারীরিক গঠন হলেই আমরা তাকে পুরুষ বলি। কিন্তু পুরুষ আসলে দুই প্রকার। সঠিক পুরুষ আর অঠিক পুরুষ। আর সঠিক পুরুষ চেনার প্রধান এবং প্রথম লক্ষণ হল নারী জাতির প্রতি তার আচরণ কেমন?

একজন পুরুষ যত সফলই হোক না কেন মেয়েদের সম্মান না দিলে বুঝত হবে সেবে ঠিক পুরুষ , তার মধ্যে কোনো পুরুষত্ব নেই।

আমাদের দেশের পুরুষরা যদি একটু বদলাতো তাহলে মেয়েদের মাথায় দুনিয়ার আজে বাজে জিনিস নিয়ে কনফিউশন,হেজিটেশন থাকত না,তাঁদের আত্মবিশ্বাস দ্বিগুণ হয়ে যেত।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment