আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ইসির সেল গঠন

নির্বাচনের দিনসহ আগে-পরের চার দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে (মনিটর) করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটের দিন, ভোটের আগের দুই দিন ও পরের দিনের পরিস্থিতি মনিটর করতে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। কমিটির দায়িত্ব হবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কমিশনকে অবহিত করবে এবং কমিশনের নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে মাঠপর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, এই কমিটি নির্বাচনের দুই দিন আগে থেকে নির্বাচনের পরের দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচনে মোতায়েনকৃত আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের মধ্যে সমন্বয় করবে। সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সিগন্যাল অপারেটর টিম সেটসহ উপস্থিত থেকে সংস্থার নিজস্ব যোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কমিশনের নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে জানাবে। এছাড়াও ভোটকেন্দ্র বা নির্বাচনি এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করবে। পাশাপাশি ব্যালট পেপারসহ বিভিন্ন নির্বাচনি মালামাল পরিবহন, বিতরণ এবং ভোটগ্রহণ কাজে নিরাপত্তা বিধানের জন্য মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করে রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারদের সহায়তা দেবে। এই কমিটি রিটার্নিং অফিসার, জননিরাপত্তা বিভাগ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশ বিভাগ ও অন্যান্য শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে।
এ বিষয়ে এনআইডির ডিজি মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে কমিশন আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন করছে। এই সেল নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি কমিশনকে অবহিত করবে। পাশাপাশি ভোটের ফল প্রকাশের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। যাতে কেন্দ্রে ডিসপ্লের মাধ্যমে ফলাফল দেখা যায়। সে বিষয়টিও কমিশন পর্যবেক্ষণ করবে। নির্বাচন ভবনের কন্ট্রোল রুম থেকে এসব নিয়ন্ত্রণ করা হবে।’
জানা গেছে, কমিশনের গঠিত কমিটিতে জননিরাপত্তা বিভাগের একজন, সশস্ত্র বাহিনীর একজন কর্মকর্তা, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের একজন কর্মকর্তা, বিজিবি/র‌্যাব/আনসার ও ভিডিপি/কোস্টগার্ডের একজন করে কর্মকর্তা এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের একজন কর্মকর্তা অন্তর্ভুক্তির কথা রয়েছে।
জানা গেছে, এসব বাহিনীর কাছে প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য ইসি ইতোমধ্যে চিঠি দিয়েছে। এদের কেউ কেউ তাদের প্রতিনিধির নামও ইসিকে জানিয়ে দিয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment