পুলিশের গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, গ্রেফতার ৫

টাঙ্গাইলের সখীপুরে পুলিশের গাড়িতে হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় সখীপুর থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৪ পুলিশ আহত হয়েছেন। তাদের সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সখীপুর-সাগরদিঘী সড়কের উপজেলার বড়চওনা মোটের পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই দয়াল চন্দ্র সরকার, আইয়ুব হোসেন খান, এএসআই ফয়েজ উদ্দিন ও কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম।এ ঘটনায় সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুল্লাহ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সহ-সভাপতি আবদুল হালিম সরকার লালকে প্রধান আসামি করে ১৫০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত আরো দেড়’শ জনকে আসামি করা হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মিছিলে হামলার অভিযোগে মামলার আসামি আবদুল হালিম সরকারকে গ্রেফতারে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালায়। ফেরার পথে বড়চওনা এলাকার মোটের পুকুরপাড় এলাকায় সড়কে গাছ ফেলে দুর্বৃত্তরা পুলিশ ভ্যানের গতিরোধ করে। তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালিয়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ১৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। পরে খবর পেয়ে আশেপাশে থাকা পুলিশের টহল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে।

হামলায় সখীপুর থানার এসআই দয়াল চন্দ্র সরকার, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ফয়েজ উদ্দিন, উপপরিদর্শক (এসআই) আইয়ুব হোসেন খান ও কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম আহত হন। আহত দয়াল চন্দ্র ও কনস্টেবল শফিকুল ইসলামকে হাসপাতালে রেখে অপর দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সখীপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক বাচ্চু, সাবেক কাউন্সিলর হাতেম আলী শিকদার, পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নতুব আলী, বিএনপি সমর্থক আবদুল মালেক ও হাসান আলী গ্রেফতার করেছে।

বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. আহাদুজ্জামান মিয়া, সখীপুর সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. মোহসিন ও সখীপুর থানার ওসি মো. আমির হোসেন, ওসি (তদন্ত) এএইচএম লুৎফুল কবীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়াও তারা আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান।

জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. আহাদুজ্জামান মিয়া বলেন, একটি মামলার আসামিকে গ্রেফতার করতে পুলিশ তার বাসায় অভিযান চালায়। ফেরার পথে ওই আসামি আবদুল হালিম সরকার লালের তিন শতাধিক সমর্থক কাঠের গুড়ি রাস্তায় ফেলে পুলিশের গাড়ি গতিরোধ করে। পরে তারা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় তারা ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment