নৌকা মার্কার প্রার্থী ক্রিকেটার মাশরাফী সরকারি বেতনভুক্ত, অথচ তিনিও বৈধ প্রার্থী। অসংখ্য দন্ডিত ও ঋণখেলাপীরা নৌকা মার্কার প্রার্থী। আসলে ক্ষমতা হাতে থাকলে পাহাড়েও নৌকা ভাসানো যায়। শনিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপির মুখপাত্র রহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, সজিব ওয়াজেদ জয় বলেছিল আওয়ামী লীগ ২২০ আসন নিয়ে সরকার গঠন করবে, তা বাস্তবায়নের জন্যেই মাস্টারপ্ল্যান করে বিএনপির প্রার্থীতা বাতিল ও স্বয়ং এমপি প্রার্থীদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং জামায়াতের নেতা বলে আরও ২২-২৩টি আসনের প্রার্থীতা বাতিল করার পরিকল্পনা চলছে। ইসি তালিকা চূড়ান্ত করার পর প্রার্থীতা বাতিল চরম প্রতারণামূলক। এর দায় ইসিকেই নিতে হবে। ২৭-২৮ তারিখের মধ্যে এ পদ্ধতিতে বেশ কিছু আসনের জয় তারা নিশ্চিত করতে চায়।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, নৌকা মার্কার প্রার্থী চিত্রনায়ক ফারুক ঋণখেলাপী হয়েও প্রার্থী হয়েছেন, নির্বাচন কমিশন ও আদালত এক্ষেত্রে নির্বিকার। ফারুক নিজেই বলেছেন-তার ৩৬ কোটি টাকার লোন রিসিডিউলিং আবেদন কেন গ্রহণ করা হয়নি তা তিনি জানেন না, তাহলে তিনি বৈধ প্রার্থী হলেন কিভাবে।
রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রার্থী চূড়ান্ত করে দেয়ার পর এখন আদালতকে চাপ দিয়ে প্রার্থীতা বাতিলের দায় ইসি’র উপরই পড়ে। মার্কা পাওয়ার পর নির্বাচনী মাঠ থেকে প্রার্থীদের সরিয়ে দেয়া সুপরিকল্পিত চক্রান্ত। বাংলাদেশে এধরণের ঘটনা কখনো ঘটেনি।