২০১৮ সালের ফুটবলের প্রায় সবগুলো সেরার পুরস্কারই হাতে তুলেছেন লুকা মডরিচ। ব্যালন ডি’অর থেকে শুরু করে ফিফার দ্য বেস্ট, উয়েফার বর্ষসেরা, বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল-সবই জিতেছেন রিয়াল মাদ্রিদের ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার। মডরিচের প্রতিটি পুরস্কার প্রাপ্তিতে উঠে এসেছিল ক্রিয়ানো রোনালদোর নাম।
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে টানা তৃতীয় চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন বলে পর্তুগিজ এ তারকার জন্য ব্যালন ডি’অর ও দ্য বেস্টের বাজি ছিল অনেকের। কিন্তু রোনালদোকে শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় হয়ে থাকতে হয়েছে। মডরিচের হাতে পুরস্কার ওঠার অনুষ্ঠানগুলোর একটিতেও রোনালদো উপস্থিত ছিলেন না। আগেভাগে পুরস্কারজয়ীর নাম জানার পর এড়িয়ে গেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে মডরিচকে শুভেচ্ছাও জানাননি কোনোবার।
উপরন্তু ব্যালন ডি’অর এবং দ্য বেস্ট পুরস্কার অনুষ্ঠানের পর এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রোনালদোর বোন ও এজেন্ট। পুরস্কার না পাওয়া সিআর সেভেনকে নিয়ে তাই নতুন এক সমালোচনাও শুরু হয়, যার মূল কথা- রোনালদো ব্যক্তিগত পুরস্কারের জন্য লালায়িত। তবে বছরের শেষ প্রান্তে এসে জুভেন্তাস তারকা বললেন, ধারণাটি মিথ্যা।
‘রেকর্ড’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী এ তারকা বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত পুরস্কার নিয়ে ঘোরের মধ্যে থাকি না। আমার কাছে দলকে সহায়তা করাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেটা করতে পারলে বাকি সব এমনিতেই আসবে। হ্যাঁ, পুরস্কার পেলে আমি আনন্দিত হই; আড়াল করি না। কিন্তু না পেলে দুনিয়া একেবারে শেষ হয়ে যায় না।’
২০১৮ ক্যালেন্ডার বর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্তাস ও পর্তুগালের হয়ে মোট ৫৩টি ম্যাচ খেলেছেন রোনালদো। গোল করেছেন ৪৯টি। অবশ্য রাশিয়ায় বিশ্বকাপ খেলার পর জাতীয় দলের জার্সি আর গায়ে তোলেননি। জুলাইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্তাসে যোগ দেওয়া এবং এ সংক্রান্ত অন্যান্য ব্যস্ততার কারণেই পর্তুগাল দল থেকে বিশ্রাম নিয়েছিলেন বলে জানালেন তিনি, ‘আমার বয়স এখন ৩৩, একটা দেশ থেকে আরেকটা দেশে গেছি। কাজের ধরন, সতীর্থ, পেশাগত এবং ব্যক্তিগত রুটিনে পরিবর্তন- এসব মিলিয়ে আমাকে বিশ্রাম নিতে হয়েছে। আমার মনে হয় এটা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল।’
বিশ্বকাপের পর রোনালদোকে ছাড়া ছয়টি ম্যাচ খেলেছে পর্তুগাল। জিতেছে তিনটিতে, ড্র করেছে বাকি তিনটি। তবে নতুন বছরে জাতীয় দলের জার্সি আবারও গায়ে জড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে তার কথাও নাকি হয়ে গেছে।
