শুভ জন্মদিন, রুনা খান!

তাঁর অভিনয় দক্ষতায় মুগ্ধ হয়নি এমন দর্শক খুঁজে পাওয়া যাবে না এদেশে। পর্দা কিংবা মঞ্চ সবখানেই তিনি তাঁর অভিনীত চরিত্রকে এমনভাবে জীবন্ত করে তোলেন যে দর্শক তাঁকেই ভুলে বসে থাকে। বলছিলাম মেধাবী অভিনেত্রী রুনা খানের কথা।

রুনা খানের শৈশব কাটে টাঙ্গাইল শহরে। তার পিতা ছিলেন একজন সরকারি চাকুরিজীবী। তিনি তাঁর পিতামাতার জ্যেষ্ঠ সন্তান। ১৯৯৮ সালে ঢাকা আসেন রুনা খান।

২০১৬ সালে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের নাম গোত্রহীন মঞ্চনাটকের মঞ্চায়নে তিনি অপি করিমের স্থলাভিষিক্ত হন। পাকিস্তানি লেখক সাদাত হাসান মান্টোর তিনটি ছোটগল্প অবলম্বনে নাটকটির চিত্রনাট্য রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন ঊষা গাঙ্গুলী। এছাড়া তিনি আসাদুজ্জামান নূর নির্দেশিত নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের দেওয়ান গাজীর কিসসা মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন।

টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু হয় তাঁর।

গোলাম সোহরাব দোদুল নির্দেশিত সংসার, সোহেল আরমান নির্দেশিত জলরঙ, আবু হায়াৎ মাহমুদ নির্দেশিত বৃষ্টিদের বাড়ি, অনিমেষ আইচ নির্দেশিত বুবুনের সাত সতের, বিইউ শুভ নির্দেশিত লাইফ ইন অ্যা মেট্রো, রায়হান খানের প্রেসিডেন্ট সিরাজ-উদ-দৌলা, সাত ঘর এক উঠানসহ বিভিন্ন টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করে দর্শক হৃদয়ে ভালোবাসার আসন করে নেন রুনা খান।

তিনি হালদা, গহীন বালুচর ও ছিটকিনি চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে মুগ্ধ করেছেন দর্শকদের। তৌকীর আহমেদ পরিচালিত হালদা চলচ্চিত্রে তাকে জাহিদ হাসান অভিনীত চরিত্রে বড় বউ জুঁই চরিত্রে দেখা যায়। বদরুল আনাম সৌদ পরিচালিত গহীন বালুচর ছবিতে শামীমা চরিত্রে অভিনয় করেন। সাজেদুল আউয়াল পরিচালিত ছিটিকিনি ছবিতে ময়মুনা চরিত্রে অভিনয় করেন।

অভিনয় করে শুধু দর্শকের ভালোবাসাই নয়, পেয়েছেন পুরস্কার ও সম্মাননাও। সাজেদুল আওয়াল পরিচালিত ‘ছিটকিনি’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে পেয়েছেন মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কার। এছাড়া টেলিভিশন নাটক ‘আহত পাখির গান’-এ অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন তিনি।

১১ জানুয়ারি এই প্রতিভাবান অভিনেত্রীর শুভ জন্মদিন। জন্মদিনে তাঁকে পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজ পরিবারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment