এ বছর হাওরে মার্চ এপ্রিলের আগাম বন্যার আশংকা দেখছেন না আবহাওয়াবিদরা

এই বছর আগাম বন্যায় হাওরে ফসল ক্ষতির তেমন আশংকা নেই। অসময়ে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ২০১৭ সালের মার্চের শেষ ও এপ্রিলের শুরুতে আগাম বন্যায় ভেসে যায় হাওড়ের ৬ লাখ টন ধান। যদিও বেসরকারি হিসাবে ফসলহানির পরিমাণ ২২ লাখ টন। এতদিন মানুষের ধারণা ছিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর যদি বলে বৃষ্টি হবে, সেদিন রোদ ওঠে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, তাদের পূর্বাভাস এখন অনেকটাই নির্ভূল। উন্নত প্রযুক্তির কল্যাণে ১০ দিনের পূর্বাভাস দেয়ার সক্ষমতা আছে তাদের। চ্যানেল ২৪

আবহাওয়াবিদ মো.আব্দুল মান্নান বলেন, দশ দিন আগেও যদি বুঝতে পারি যে, হাওড় অঞ্চলে ভারিবর্ষণের সম্ভবনা আছে তাহলে আমরা জানিয়ে দিতে পারবো। এমাসে হাওড়ে স্বাভাবিক বর্ষণ হবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সামসুদ্দিন বলেন, সামুদ্রিক ঘুর্নিঝড়, প্রবলবর্ষণ, ভারিবর্ষণ কিংবা শৈত্যপ্রবাহ, তাপপ্রবাহ এসব ক্ষেত্রে আমাদের কোন ভুল হয় না। গত মাসে আমাদের একটি পূর্বাভাসও ভুল হয়নি। গত বছর থেকে আমরা অপারেশনাল নিউমেরিকাল ওয়েদার প্রেডিকশন সিস্টেম চালু করেছি। যার কারনে আমাদের পূর্বাভাসের উন্নয়ন হচ্ছে, দক্ষতা বারছে এবং ভুলের সংখ্যা কমে এসেছে।

তিনি আরো বলেন, সমুদ্রে তিনটি ভাসমান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে। ২০২১ সাল নাগাদ এটি সম্পন্ন হলে ঘুর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস আরো নিখুঁত হবে। একই সাথে আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রচারে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। তবে পূর্বাভাস বিষয়ে সরকারের অন্যান্য বিভাগকে আরো সচেতন হতে হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment