জ্যামিতির বহুমাত্রিক কোণবিষয়ক গবেষণা করে এবার অংকের ‘নোবেল পুরস্কার’ পেলেন অংকবিদ কেসকুল্লা ক্যারেন উহ্লেনবেক। পুরস্কারটি নোবেলের সম মর্যাদারই। একে ‘অ্যাবেল প্রাইজ’ বলা হয়। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) নরওয়ের অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স অ্যান্ড লেটার্স কারেনের নাম ঘোষণা করেছে । সংস্থাটি জানান, ‘পদার্থবিজ্ঞান, গণিত শাস্ত্র ও বিশ্লেষণ এই তিনটি শাখার মধ্যে সেতু গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ক্যারেনের সারা জীবনের অবদানের জন্য এবার দেওয়া হয়েছে অ্যাবেল প্রাইজ। অংকের সবোর্চ্চ সম্মান এই অ্যাবেল প্রাইজের মূল্যমান ৬০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার যা টাকায় ৫ কোটি ৪২ লাখ ২৮ হাজার টাকা। এই প্রথম কোনো নারী এমন আন্তর্জাতিক সম্মানে ভূষিত হলো। জেনে অবাক হওয়ার কথা যে, এতো বড় সম্মানপ্রাপ্তির পেছনে রয়েছে সামান্য একটা সাবানের ফেনা বা বুদবুদ।
এ নিয়েই কাজ করেছিলেন গবেষক ক্যারেন। তিনি গবেষণা করে জানিয়েছিলেন যে বহুমাত্রিক জগতে গোল সাবানের বুদবুদ দেখতে কেমন হবে। পদার্থ বিদ্যার জগতে মাত্রা বলে একটা বিষয় রয়েছে। এই মাত্রাগুলো হচ্ছে কোনো বস্তুর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ আর উচ্চতা। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এই তিন মাত্রার সকল বস্তুই আমাদের সামনে দৃশ্যমান। তবে এই তিন মাত্রার ছাড়াও আরেকটি মাত্রা বা ডাইমেনশন রয়েছে। আর সেটা হলো সময়। তিন মাত্রার সঙ্গে সময় যোগ করলেই হয় চার মাত্রার (ডাইমেনশন) ব্রহ্মাণ্ড। কিন্তু বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, এসবের বাইরেও বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আরও মাত্রা রয়েছে। যাকে বলা হয় বহুমাত্রিক (মাল্টি-ডাইমেনশনাল) ব্রহ্মাণ্ড। চার মাত্রার পৃথিবীতে সাবানের ফেনার চেহারাটা দেখতে কেমন তা আমরা জানি। কিন্তু বহুমাত্রিক জগতে সেই সাবানের ফেনার অর্থাৎ গোলকটি দেখতে কেমন হবে তাই ক্যারেনের গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে। বিজ্ঞানী ক্যারেনের এ আবিস্কারের ফলে কণাপদার্থবিজ্ঞানের স্ট্যান্ডার্ড মডেলের ভিত গড়ে ওঠে। এভাবেই জ্যামিতি, বিশ্লেষণ আর কণাপদার্থবিজ্ঞানের মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তুলেছেন কারেন। 150 Shares