নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক বিএনপি সমর্থককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি, আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিনের জামিন নিয়ে তোলপাড় চলছে। প্রশ্ন উঠেছে, জামিন অযোগ্য ধারায় ধর্ষণ মামলার এই আসামির জামিন পাওয়ার রহস্য কী?
এ প্রসঙ্গে মানবাধিকার কর্মী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক নূর খান শনিবার ডয়চে ভেলেকে বলেন, এই মামলার শুরুতে রহুল আমিনকে আসামি করা হয়নি। পরে আসামি করা হয়। এখানে এই মামলার দুর্বলতা আছে। জামিন শুনানির সময় ডেপুটি এটর্নি জেনারেল (ডিএজি) যদি বিষয়টিকে আদালতে স্পষ্ট করতেন বা স্পষ্ট করে তুলে ধরতেন তাহলে হয়তো সে জামিন পেতো না। আইনের ফাঁক-ফোকরের সুযোগ নিতে পারতেন না। আমার ধারণা, ডিএজি তার কাজটি সঠিকভাবে করেননি। আর ডিএজি যেহেতু কাজটি করেননি, তাই সরকার বা রাজনৈতিক চাপের বিষয়টি অনুমান করা যায়।
তিনি আরো বলেন, পুলিশ প্রতিবেদন ও তদন্তের দুর্বলতা, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের দুর্বল অবস্থানের কথা আমরা অনেক দিন ধরেই বলে আসছি। আর এসব কারণে বহু অপরাধী জামিন বা ছাড়া পেয়ে যায়। ফলে বিচার-ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা তৈরি হয়
তিনি জানান, রুহুল আমিনের জামিন পাওয়ার পেছনে তিনটি সাম্ভাব্য কারণ আছে। পুলিশ প্রতিবেদনে দুর্বলতা, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কার্যকরভাবে জামিনের বিরোধিতা না করা এবং রাজনৈতিক বা সরকারের চাপ।