কম বয়সী ছেলেরা একটুকু অন্যদেরছে আলাদা ।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র বলেছেন, সত্য-মিথ্যা জানি না। তবে আমার থেকে বয়সে ছোট এক বিশেষ বন্ধু আছে। ওর সঙ্গে কাজও করছি কিন্তু মাঝেমধ্যেই ওকে ফোন থেকে বা জীবন থেকেও ব্লক করে দিই!

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার নতুন সিনেমা ‘রেনবো জেলি’। এই ছবির প্রসঙ্গেই এক সাক্ষাৎকারে তিনি কথা বলেছেন ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয়ে। শ্রীলেখা আরো বলেন, ওর সঙ্গে যখন ঘনিষ্ঠ হই, তখন আমার স্পেস প্রব্লেম হয় না। বিয়ে তো করব না, এটা কনফার্ম। প্রথম থেকেই জানি, এ সম্পর্কের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। তবে একটা মায়া আছে, ভালবাসা আছে। কিন্তু ২০ বা ৩০ বছর বয়সে যেটা ছিল সেই প্রেম এখন আর নেই। তবে ছেলে বন্ধু কম বয়সী হলে স্বাদটা একটু ভিন্ন হয়।

নতুন এই প্রেমিক সম্পর্কে শ্রীলেখা আরো বলেন, ওর বয়সটা কম, ইমোশন অনেক বেশি। ওর ব্যাপারটা অনেক বেশি প্রকট, বয়সের কারণে।

ওই বয়সে আমার এক্স হাজব্যান্ডের জন্য যে আকুতিটা ছিল সেটা সে আমার মতো করে রেসিপ্রোকেট করতে পারত না।

 

ঢাকাই চলচ্চিত্রে এক যুগের ক্যারিয়ার তার। নাচে গানে যিনি দর্শকদের এখনো মাতিয়ে চলছে তিনি আর কেউ নন তিনি নায়িকা পপি। অভিনয়ে ব্যস্ততা ও ব্যক্তিগত কারণে এখনও বিয়েটা করা হয়নি এ নায়িকার। বিয়ে না করলেও প্রেমের বহু প্রস্তাব পেয়েছেন এই সুদর্শনী। সম্প্রতি প্রথম প্রেমের গল্প শুনিয়েছেন এ নায়িকা।
পপি জমিদার বংশের মেয়ে। এ ধরনের পরিবারের মেয়েকে প্রেম প্রস্তাব দেয়া সাহসের ব্যাপার। তবু সাহস করে ছোটকালেই অনেকে প্রেম প্রস্তাব করেছেন। এক প্রেমিককে তো প্রেম নিবেদনের শাস্তিস্বরূপ মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হয়েছিল।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই নায়িকা প্রথম প্রেমের প্রস্তাব পান পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময়। স্কুলে যাওয়ার সময় এই প্রস্তাব দেন গ্রামের এক যুবক।

এ বিষয়ে পপি বলেন, ‘একদিন স্কুলে যাওয়ার পথে একটি ছেলে হুট করে আমার পথ আটকে দেয়। হাতে একটি চিঠি নিয়ে, সে ছেলেটি আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এমন পরিস্থিতিতে আমি কখনও পড়িনি। তাই অনেকটা মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে ছিলাম। এর পর ছেলেটি আমার হাতে সে চিঠিটা পুরে দিয়ে উত্তরের অপেক্ষায় থাকে। ফেরার পথে আমি যেন এর উত্তর দিই, বলে ছেলেটি সেখান থেকে চলে যায়।’

আচমকা প্রেম প্রস্তাব পেয়ে অবাক হন এ নায়িকা। কিছুক্ষণ সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকেন। এর পর কান্না শুরু করেন। কাঁদতে কাঁদতে ক্লাসে ডুকেন। ক্লাসের বান্ধবীরাও জানতে চায়, কি হয়েছে? কান্নার কারণে কিছুই বলতে পারছিলেন না পপি।

শিক্ষকরাও ছুটে আসেন। জানতে চায় কি হয়েছে? পুরো ঘটনাটা তাদের জানালেন পপি। স্কুল ছুটির পর পপি একা বাসায় ফেরার পথে পথ আটকায় ওই ছেলে। পর দিন শিক্ষকরা বাসায় পৌঁছে দেয় পপিকে। এদিন ওই যুবক ফের প্রেম প্রস্তাবের উত্তরের আশায় পথ আটকায়। তখন পপির শিক্ষক, বাবা, মা সবাই যুবকটিকে ঘিরে ফেলে। বিচারে ছেলেটির চুল কেটে দেয়া হয়েছিল।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment