রানা প্লাজা ট্র্যজেডির ৬ বছর পূর্ণ হবে বুধবার, এখনো কর্মহীন ৫১ শতাংশ বেঁচে যাওয়া শ্রমিক

সময় আর নদীর স্রোত নাকি কারো জন্য অপেক্ষা করে না। সবচেয়ে প্রিয় মানুষটিও সময়ের প্রভাবে স্মৃতি থেকে বিলীন হয়ে যায়। দেশের গার্মেন্টস খাতের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা রানা প্লাজা ধ্বসের স্মৃতিও বিলীন হতে শুরু করেছে। কিন্তু এখনো থেমে থেমেই কান্নার রোল উঠে স্বজন হারানো পরিবারগুলোতে। এই দুর্ঘটনার ৬ বছর পার হয়ে গেলেও এখনো ৫১ শতাংশ শ্রমিক কর্মহীন রয়েছে বলে দাবি করেছে বিভিন্ন শ্রমিক অধিকার সংস্থা। বুধবার এই ট্র্যজিডির দিনটি ৬ বছর পূর্ণ করবে। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধ্বসের এই দিবসটিকে গার্মেন্টস শ্রমিক শোক দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়ে রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্থ বা চাকরি হারানোদের ক্ষতিপূরণ এবং পুনরায় চাকরিতে নিয়োগের দাবি শ্রমিক সংগঠনগুলোর।

সম্প্রতি রানা প্লাজা সংক্রান্ত শ্রম অধিকার সংস্থা অ্যাকশন এইডের একটি গবেষণায় বলা হয়, এই ভবন ধ্বসে আহত ২০ শতাংশ শ্রমিকের অবস্থার অবনতি ঘটেছে। ৪৯ শতাংশ আহত শ্রমিক বিভিন্ন কর্মসংস্থানের সাথে যুক্ত হলেও ৫১ শতাংশই এখনো রয়ে গেছে কর্মসংস্থানের বাহিরে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেন পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এর সদ্য সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি অনেকবারই দাবি করেছেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় চাকরিহারাদের কেউই আর বেকার নেই। কেউ যদি থেকে থাকে তাহলে তাদের অবশ্যই চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। অ্যাকশন এইডের ওই গবেষণায় আরও বলা হয়, ১৫ শতাংশ শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে ফেরত গেলেও অধিকাংশ শ্রমিকই দূরে সরে গেছেন গার্মেন্টস শিল্প থেকে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, এত বড় একটি দুর্ঘটনার পর শ্রমিকদের মানসিক কাউন্সিলিং যতটা জরুরি ছিলো ততটা করা হয়নি। ফলে শ্রমিকদের একটা বড় অংশ এই খাত থেকে সরে গিয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি। ওই ঘটনায় আহতদের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার।

এ ব্যাপারে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, একটা আলোচনা ছিলো যে শ্রমিকদের জন্য একটা বিশেষায়িত হাসপাতাল হবে। যেখানে রানা প্লাজায় আহতদের চিকিৎসা করা হবে। কিন্তু সেই আলোচনা আর এগোয়নি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment