নওগাঁর সাপাহার সীমান্তে এক বাংলাদেশি যুবকের হাতের আঙুলের ১০টি নখ উপড়ে নিয়ে নির্যাতন চালিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ শনিবার সকাল ৬টার দিকে সীমান্তবর্তী পুনর্ভবা নদীর জিরো পয়েন্ট থেকে আহত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে আদাতলা ১৬ বিজিবির একটি দল।
নখ উপড়ে নেওয়া ওই যুবকের নাম আজিম উদ্দীন (২৮)। তিনি উপজেলার দক্ষিন পাতাড়ী (তুলশী ডাঙ্গা) গ্রামের কবির উদ্দীনের ছেলে। বর্তমানে আজিম সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্যকপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাতে একদল গরু ব্যবসায়ীর সঙ্গে আজিম উদ্দীন রাখাল হিসেবে ভারতের অভ্যন্তরে গরু আনতে যায়। গরু নিয়ে তারা আজ শনিবার ভোরে সীমান্তের ২৪২ আর এস পিলার এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে। তখন ভারতের বামন গোলা থানার, রাঙ্গামাটি ক্যাম্পের ৬০বিএসএফের টহলরত জোয়ানরা তাদের পিছু ধাওয়া করে।
এ সময় অন্যরা গরু রেখে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও আজিম উদ্দীন বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে। পরে তারা তাকে ভারতীয় বিএসএফ ক্যাম্প এলাকায় নিয়ে গিয়ে জীবন্ত অবস্থায় দুই হাতের প্রত্যেকটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলে এবং শারিরীক নির্যাতন করে। এ সময় আজিম উদ্দীন বিএসএফের অমানুষিক নির্যাতনে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অচেতন অবস্থায় তারা তাকে সীমান্তবর্তী পুনর্ভবা নদীর জিরো পয়েন্টে ফেলে রেখে চলে যায়।
সকাল ৬ টার দিকে আদাতলা ১৬বিজিবির একটি টহল দল ওই এলাকায় গেলে তারা নদীর কিনারে ওই যুবককে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। তারা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। এরপর সকাল ১০টার দিকে আদাতলা বিজিবি সদ্যসরা আহত যুবককে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্যকপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আদাতলা বিজিবির পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছিল।
১৬বিজিবির ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মোহাম্মাদ মাসুদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি জানান, এই ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে সাপাহার থানায় একটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
