কিউবার আবেদনময়ী আনা নতুন বন্ডগার্ল

জিরো জিরো সেভেন সিরিজের জেমস বন্ড মুভির অন্যতম ‘বন্ডগার্ল’। বিশ্বখ্যাত বহু অভিনেত্রী বন্ডগার্ল সেজে আগুন ছড়িয়েছেন। বন্ডগার্লরূপী মলি পিটার্স, ফামকে ইয়ানসন, ডায়ানা রিগ, অলিভিয়া ওয়াইল্ড হ্যালি ব্যারি আর ইভা গ্রিনের পারফর্ম্যান্স চমক তৈরি করেছে যুগে যুগে। তাদেরই উত্তরসূরি হয়ে কিউবার ৩১ বছর বয়সী অভিনেত্রী আনা ডে আরমাস। এ পর্যন্ত যৌন আবেদনময়ী যতো বন্ডগার্ল এসেছেন তাদের মধ্যে এই অভিনেত্রী অন্যতম।

স্বর্ণালী চুলের এই অভিনেত্রীর চোখ দুটি সবুজাভ পান্নার মতোই ঝলমলে। নিজের টান টান দেহবল্লরী ক্যামেরার সামনে পুরোপুরি উন্মোচনেও সে বেশ উদার।

হলিউডে আনাকে কয়েক বছর ধরেই চলছে মাতামাতি। কিউবার এই সুন্দরীকে নিয়ে কানে কানে অনেকেই বলে থাকেন, কোনো সিনেমায় সহ-অভিনেতা যিনিই হোন না কেন, আনা তার প্রেমে পড়ে যায়। সম্পর্ক বেড পর্যন্ত গড়ানোর পর পরই নাকি ইউটার্ন নিয়ে থাকেন নতুন এই বন্ডগার্ল।

আনা ডে আরমাস অভিনয় করছেন ১৬ বছর বয়স থেকেই তিনি ছবিতে অভিনয় করে আসছেন। এখন ৩১ বছর বয়সী টগবগে যুবতী। নিজের স্বীকার করেছেন, আমি এরই মধ্যে অনেক মানুষের প্রেমে পড়েছি। অনেক ছবিতে তিনি রগরগে দৃশ্যে একেবারে খোলামেলা অভিনয় করেছেন। বিছানায় দেখা গেছে তাকে নগ্ন অবস্থায়। গত কয়েক বছর ধরে হলিউডের রগরগে ছবিতে নিজের উদারতা প্রদর্শন করে আনা পেয়েছেন ব্যাপক পরিচিতি। আনা অভিনীত ব্লেড রানার, ব্লাইন্ড অ্যালে, পার্টি অ্যান্ড লাইজ, নক নক প্রভৃতি ছবি ব্যবসায়িক সাফল্য পাওয়া নেপথ্যে ছিল এই অভিনেত্রীর নগ্ন দেহপ্রদর্শণ।

সেই আনা আরমাসই হতে চলেছেন ৭৬তম বন্ড গার্ল হতে যাচ্ছেন। তিনি কিউবার রাজধানী হাভানায় বড় হয়েছেন। শিশু থাকা অবস্থায় তিনি কোনো বন্ড সিরিজের ছবি দেখেন নি। আর তো বন্ডগার্ল হওয়ার স্বপ্ন পরের কথা। হাভানায় ন্যাশনাল থিয়েটার স্কুলে চার বছর পড়াশোনা করেছেন। তারপর ১২ বছর বয়সে তিনি অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। কিউবা তখন শাসন করেন ফিদেল ক্যাস্ত্রো। তিনি দেশ ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন।

আনার দাদাদাদি অথবা নানানানী স্প্যানিশ। সেই সূত্রে তিনি স্প্যানিশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেন ১৮ বছর বয়সে। তখন তার সঞ্চয় ২০০ ইউরো। তাই নিয়ে চলে যেতে চান মাদ্রিদে। সেখানেই গড়ে ওঠে তার ক্যারিয়ার। সর্বশেষ আনা অভিনয় করেন থ্রিলার সিনেমা ‘নাইভস আউট’।

 

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment