ক্রিকেটকেই ধ্যান-জ্ঞান মনে করতেন। কিন্তু খেলে তিনি যা রোজগার করতেন তাতে সংসার চলছিল না। তাইতো পার্টটাইম চাকরিও শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাতেও দেনা শোধ করতে পারেননি। তাইতো উপায় না দেখে মাকে নিয়ে আত্মহত্যার পথই বেছে নেন বিনোদ নামে এক ক্রিকেটার। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের থানে জেলার শহর ভিরারে।
গত শুক্রবার রাতে ভিরারের একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বিনোদ ও তার মা সঞ্জীবনী চৌগুলে।
জি-নিউজের খবরে বলা হয়েছে, বিনোদের মা সঞ্জীবনী চৌগুলের সঙ্গে তার স্বামীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। ছেলেকে নিয়ে আলাদা ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন তিনি। ভিরারের নারাঙ্গিতে সাই হেরিটেজে একটি ফ্ল্যাটে ছিল তাদের ছোট সংসার।
২৫ বছর বয়সী বিনোদ ক্রিকেটকেই ধ্যান-জ্ঞান মনে করতেন। পূর্ব ভিরারের সাইবা ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলতেন তিনি। কিন্তু ক্লাব ক্রিকেটে খেলে যা উপার্জন করতে তা দিয়ে সংসার চলছিল না। তাই ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি পার্টটাইম চাকরি করতে শুরু করেছিলেন বিনোদ। কিন্তু দেনার দায় মাত্রাতিরিক্তি বেড়ে গিয়েছিল।
ঋণের টাকা শোধ না করতে না পেরেই তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে অনুমান পুলিশের। এ ঘটনায় দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে কিছুদিন আগেই উঠতি ক্রিকেটারদের বৃত্তিমূলক শিক্ষার দাবি তুলেছিলেন ভারতের ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড়। তার বক্তব্য ছিল, ক্রিকেটাররা ক্রিকেটে ব্যর্থ হলে যেন জীবিকার জন্য অন্য কোনো পথ বেছে নিতে পারেন। ক্রিকেট খেলতে খেলতে অনেক ক্রিকেটার পড়াশোনা উপেক্ষা করে বসেন। একটা সময়ের পর ক্রিকেটে ব্যর্থ হলে জীবিকা নির্বাহের আর কোনো পথ খোলা থাকে না। এই ব্যাপারে ভারতীয় বোর্ডকে ভাবনা-চিন্তা করার আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি।
রাহুল দ্রাবিড়ের দাবি উস্কে দিলো এই ঘটনা। সেখানে কিনা একজন ক্রিকেটারকে দেনার দায়ে আত্মহত্যা করতে হলো!
