বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) দেশের নামিদামি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এসিআই, মোল্লা ও মধুমতিসহ ৮টি কোম্পানির খাবারের লবণকে নিম্নমানের বলে জানিয়েছে । সম্প্রতি রমজান উপলক্ষ্য বাজার থেকে ৪০৬টি পণ্য সংগ্রহ করার পর সেগুলো পরীক্ষার করে বিএসটিআই।
গত বৃহস্পতিবার (২ মে) মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
বাজার থেকে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করার পর ৫২টি কোম্পানির ৫২টি পণ্য নিম্নমানের বলে জানায় বিএসটিআই। সেই প্রতিবেদনে এসিআই, মোল্লা ও মধুমতিসহ ৮টি কোম্পানির খাবারের লবণকে নিম্নমানের বলে উল্লেখ করা হয়।
বিএসটিআই’র তালিকায় উল্লেখ করা নিম্নমানের লবণ কোম্পানি গুলো হলো- এসিআই সল্ট লিমিটেডের এসিআই লবণ, মোল্লা সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজের মোল্লা সল্ট, মধুমতি সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজের মধুমতি, মেসার্স নিউ ঝালকাঠি সল্ট মিলসের দাদা সুপার, মেসার্স কোয়ালিটি সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজের তিন তীর, মেসার্স লাকী সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজের মদিনা ও স্টারশিপ, মেসার্স তাজ সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজের তাজ এবং মেসার্স নূর সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজের নুর স্পেশাল লবণ।
এ প্রসঙ্গে বিএসটিআইয়ের পরিচালক (সিএম) প্রকৌশলী এস এম ইসহাক আলী বলেন, ‘অভিযুক্ত কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে এরইমধ্যে সতর্ক করে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অচিরেই এসব কোম্পানিতে অভিযান চালানো হবে। এরপরেও যদি পণ্যের গুণগত মান ঠিক না করা হয় তবে এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ইসহাক আলী আরো বলেন, ‘রমজান মাসে সরিষার তেল, লবণ, হলুদ ও মরিচের গুড়া, লাচ্ছা সেমাই, ঘি ও দই বেশি ক্রয় করে সাধারণ মানুষ। এর বাইরে পানির প্রয়োজন হয়। এসব পণ্য নিম্নমানের হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করতে হয়েছে।
আমরা কি খাই প্রতিদিন- এই চিত্র দেখলেই বোঝা যায়। প্রতিবেদনের কপি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’ অচিরেই এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে জোরালো ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন পরিচালক।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিএসটিআই’র প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার এক সপ্তাহের মাথায় জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান।
সেই রিটে বিএসটিআই’র তালিকা ভুক্তো এসব নিম্নমানের পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার ও গুণগত মান উন্নত না হওয়া পর্যন্ত পণ্য গুলোর উৎপাদন বন্ধ করার জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হবে।