কালবৈশাখী ঝড়ে রাজধানীসহ সারাদেশ ১১ জনের মৃত্যু

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝরে জনপ্রতিনিধিসহ অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বাঁশের ছাউনি ভেঙে নিহত হয়েছেন একজন। বাড্ডা এলাকায় দেয়ালচাপা পড়ে প্রাণ গেছে দুজনের। নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন ৫ কৃষিশ্রমিক। আকস্মিক এই ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে উপড়ে গেছে সহস্রাধিক গাছপালা। বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। কয়েকদিন তীব্র গরমের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে ঝড়ো বাতাস আর বৃষ্টি।

ইফতারের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে চলছিলো মাগরিবের নামাজ। হঠাৎ ঝড়ে অস্থায়ীভাবে নির্মিত বাঁশের ছাউনি ভেঙে পড়ে। এতে আহত হন প্রায় ২০ জন। তাদের নেয়া হয়  ঢাকা মেডিকেলে। সেখানে মারা যান শফিকুল ইসলাম নামে একজন।

আহতদের দেখতে গিয়ে ধর্মসচিব সাংবাদিকদের জানান, ঘটনা তদন্তে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিবকে প্রধান করে ৫ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। তাদের মঙ্গলবারের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে রাজধানীর বাড্ডায় দেয়ালচাপা পড়ে দুজনসহ অন্তত ৩ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে নওগায় শুরু হয় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি। পোরশা উপজেলার একটি মাঠে ধান কাটছিলেন কয়েকজন। এ সময় বজ্রপাতে মারা যান ৩ কৃষিশ্রমিক।

বিকেল ৪টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জেও শুরু হয় ঝড় বৃষ্টি। শ্রীরামপুর গ্রামের কুমিরার বিল এলাকায় ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মারা যান মোশাররফ ও রেজাউল নামে দুই শ্রমিক। এছাড়া ঝড়ের সময় ঘরের টিনের চাল উড়ে মাথায় ইট পড়ে মারা গেছেন রাজশাহীর বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহান সরকার। পাবনার চাটমোহর এলাকায় ঝড়ের সময় আম কুড়াতে গিয়ে মারা গেছেন এক নারী।

রংপুর, নোয়াখালী, নীলফামারীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ে সহস্রাধিক গাছপালা উপড়ে গেছে। বিধ্বস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি। আহত হয়েছেন অনেকে।

আপনি আরও পড়তে পারেন