ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া অস্বাভাবিক কিছু না: পাপন

ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া অস্বাভাবিক কিছু না বলে মন্তব্য করেছেন শিল্প সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তার মতে মেয়াদ শেষে ওষুধ ফার্মেসি থেকে তুলে নিয়ে নিয়ম মেনে ধ্বংস করা হয়।

সম্প্রতি ফার্মেসিতে পরিচালিত অভিযানের সম্পের্কে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গুলশানের নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে পাপন বলেন, দোকানগুলোকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বিপরীতে ওষুধ সরবারহ করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে তাদের কাছে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ থাকতে পারে। তবে, তারা সে ওষুধ রোগীকে দিচ্ছে কিনা সেটা গুরুত্বপূর্ণ।

পাপন বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দোকানদারদের বিক্রি করার কারণ নেই, কারণ তাদের কাছে ফাণ্ডই থাকে।

ওষুধ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা দেশের ৯৫ শতাংশ ওষুধের চাহিদা পূরণ করে থাকি, এটা বিশ্বে বিরল। শুধু উন্নত দেশ হলে হয় না, সিঙ্গাপুর কত উন্নত দেশ, তারপরও তারা ৮৮ শতাংশ ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানি করে।

ওষুধ শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি পাপন বলেন, যে ৯৩ শতাংশ দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের কথা বলা হচ্ছে, মনে হয় না এতো শতাংশ হবে। তবে ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দোকানে রাখার কথা নয়।

‘সেটা নির্দিষ্ট জায়গায় স্টোর রুমে রাখার কথা। তাই অধিক মুনাফার আসায় কোনো দোকানি যাতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি না করে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।

আপনি আরও পড়তে পারেন