বিয়ের আগেই কিশোরীর জমজ সন্তান!

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক লম্পট প্রতিবেশীর উপর্যুপরি ধর্ষণে এক মাদরাসা ছাত্রী সাড়ে ৪ মাসের অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে সোমবার আড়াইহাজার থানায় ওই প্রতিবেশীর নামে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে।

এদিকে বিয়ের আগেই কিশোরীর পেটে জমজ সন্তান রয়েছে, আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার জানিয়েছেন। ফলে ওই মাদরাসা ছাত্রীকে এবরেশনের মাধ্যমে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলার জন্য ধর্ষক চাপাচাপি করছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, উপজেলার জোকারদিয়া নয়াপাড়া গ্রামের ওই কিশোরী (১৫) লতব্দী মহিলা মাদরাসার ছাত্রী। তার পিতা দিন মজুর এবং মাতা মালয়েশিয়া প্রবাসী। গত ৪ জানুয়ারি ওই ছাত্রীর মাদরাসা বন্ধ থাকায় সে দুপুরে বাড়ীতে ঘুরাফেরা করছিল।

এ সময় একই পাড়ার মৃত: মোতালেব মিয়ার ছেলে লম্পট ইয়াসিন (৩৮) তাকে ফুসলিয়ে তার (ধর্ষকের) নির্মাণাধীন পাওয়ারলুম কারখানার ভিতরে নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বলপূর্বক ধর্ষণ করে।

এরপর বেশ কয়েকবার ধর্ষিতাকে ভয় ভীতি দেখিয়ে একই স্থানে শারীরীক মেলা মেশা করতে বাধ্য করে। ফলে ধর্ষিতা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ধর্ষক সম্পর্কে ধর্ষিতার চাচা হয়। ১৭ জুন ধর্ষিতা অন্তঃস্বত্তা জনিত কারণে বমি করতে থাকলে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তার ধর্ষিতাকে সাড়ে চার মাসের অন্তঃস্বত্তা বলে রিপোর্ট প্রদান করেন।

পরে ধর্ষিতা তার পিতাকে ঘটনা খুলে বললে ধর্ষিতার পিতা বিষয়টি নিয়ে ধর্ষক ইয়াসিনের সাথে কথা বলে। ধর্ষক তাকে কিছু টাকা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষিতাকে এবরেশনের মাধ্যমে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলার জন্য চাপ প্রয়োগ করে।

ধর্ষিতার পিতা তাতে রাজী না হয়ে সোমবার ( ১৭ জুন) আড়াইহাজার থানায় এসে ধর্ষণ মামলাটি দায়ের করে। তবে মামলা গ্রহণের পর ৬দিন অতিবাহিত হলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, ধর্ষক পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন