মুশফিকের ব্যাটে টাইগারদের চ্যালেঞ্জিং স্কোর

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে লড়াইয়ের পুঁজি পেল বাংলাদেশ। সাউদাম্পটনে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬২ রান তুলেছে টাইগাররা।

ম্যাচের আগে থেকেই বেশি আলোচনা হচ্ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং বনাম আফগানিস্তানের বোলিং নিয়ে। বাংলাদেশ দলের দিক থেকে বেশ কয়েকবার একথা বলতে হয়েছে যে, রশিদ খান এবং মুজিব-উর রহমানকে ভয় পাচ্ছে না টাইগাররা। আর তাই ম্যাচে এ দুই স্পিনারের দিকে ছিল বাড়তি নজর।

রশিদ-মুজিব জুজু কাটানোর চেষ্টা করেছেন টাইগার ব্যাটম্যানরা। অন্তত সাকিব-মুশফিক-মাহমুদুল্লহর ব্যাটিং দেখে তেমনটাই মনে হচ্ছিল। কিন্তু সফলতা পাওয়া যায়নি। ইনিংসে আলো ছড়িয়েছেন আফগান স্পিনারাই। তারমধ্যেও নিজেদের ব্যাটিং শক্তিটাও দেখিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৬২ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে।

সাউদাম্পটনের এই পিচেই ভারতের বিপক্ষে নিজেদের সবশেষ ম্যাচ খেলেছে আফগানিস্তান। ওই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ভারত তুলেছিল ২২৪ রান। এই রান তাড়া করতে গিয়েও ১১ রানে হেরেছে আফগানরা।

এদিন টসভাগ্য সহায় হয়নি বাংলাদেশের। বাধ্য হয়েই আগে ব্যাট করতে নামতে হয় টাইগারদের। শুরুতেই আঘাত হানেন মুজিব-উর রহমান। এদিন তামিমের সঙ্গে ওপেনিং করতে আসা লিটন দাসকে ফেরান ১৬ রানে। সাকিব-তামিম জুটি বেশ ভালো খেলছিল। যদিও স্পিনারদের বিপরীতে অস্বস্তি দেখা গেছে তামিমের ব্যাটে। তবে সাকিব ছিলেন তুলনামুলক বেশি সাবলীল। ৩৬ রানে মোহম্মদ নবীকে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন তামিম। দারুণ ফর্মে থাকা সাকিব আল হাসানের ব্যাট এদিনও হেসেছে। মুজিবের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ক্যারিয়ারের ৪৫তম অর্ধশতক তুলে নেন সাকিব। একইসঙ্গে ডেভিড ওয়ার্নারকে টপকে বিশ্বকাপের চলতি আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকের তালিকায় উঠে গেছেন সাকিব।

সাকিব ফেরার পর দলের হাল ধরেন মুশফিক। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামা সৌম্য সরকার ছিলেন নিষ্প্রভ। ১০ বলে ৩ রান করে তিনিও শিকার হন মুজিবের। মুশফিকের সঙ্গে মাহমুদুল্লহর ৫৬ রানের জুটি দলকে দুইশ’ পারা করায়। মুজিব-রশিদ-নবীদের বিপক্ষে সুবিধা করতে না পারা মাহমুদুল্লাহ ফেরেন ৩৮ বলে ২৭ রানে।
একে একে সতীর্থদের বিদায় নিতে দেখা মুশফিক একপাশ আগলে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন। শেষ দিকে তাকে দারুণ সঙ্গ দেন এক ম্যাচ পর দলে ফেরা মোসাদ্দেক। ৮৩ রানের নায়কোচিত ইনিংস খেলে ফেরেন মুশি। মোসাদ্দেক হোসেন করেন ২৪ বলে ৩৫ রানের কার্যকরি ইনিংস।

বল হাতে সবচেয়ে সফল মুজিব। ১০ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন ৩ উইকেট। রশিদ খান ব্যাটসম্যানদের অসুবিধায় ফেললেও সফলতা সেভাবে পাননি। ১০ ওভারে ৫২ রান খরচা করলেও তিনি কোনো উইকেট পাননি।

আপনি আরও পড়তে পারেন