রাজধানীর ওয়ারীতে সামিয়া আফরিন সায়মার (৭) নিখোঁজের পর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাত পৌনে আটটার দিকে ওয়ারীর বনগ্রাম মসজিদ এলাকার নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। শনিবার (৬ জুলাই) সকালে শিশুটির বাবা অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে ওয়ারী থানায় মামলা করেছেন।
পুলিশের ওয়ারী জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সামসুজ্জামান মামলার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করা হয়।
মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আমরা কয়েকজনকে আটক করেছি। ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে। নিহত সায়মা সিলভারডেল স্কুলের ছাত্রী ছিল। তার বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরে ব্যবসা করেন।
ওয়ারী থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৫ জুলাই) মাগরিবের নামাজের সময় মেয়েটি নিখোঁজ হয়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর নির্মাণাধীন ভবনের অষ্টম তলার একটি কক্ষ থেকে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বলছে, মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত শিশুর বাবা জানান, মাগরিবের আজানের সময় আমি নামাজের জন্য মসজিদে যাই। মসজিদ থেকে ফেরার সময় সন্ধ্যার নাশতা কিনে বাসায় আসি। বাসায় এসে দেখি সায়মা নেই। আমি, আমার স্ত্রীসহ সায়মাকে খুঁজতে শুরু করি। ছয়তলা ও আটতলায় খুঁজে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে আবার আটতলায় খুঁজতে গিয়ে রান্নাঘরে তার লাশ পাওয়া যায়।
