হ্যামারের দুমদুম শব্দ আর শুনতে পাবে না পদ্মাপাড়ের মানুষ

দীর্ঘদিন কাজ করার পর রোববার রাতে পাইলিংয়ের কাজ শতভাগ সম্পন্ন হওয়ায় পদ্মা সেতুর নির্মাণে হ্যামারের কাজ শেষ। এর ফলে হ্যামারের দুমদুম শব্দ আর শুনতে পাবে না পদ্মার উভয় তীরের মানুষ।

আড়াই বছর ধরে রাতে হাতুড়ি/হ্যামার চালানোর শব্দ শুনে দূর গ্রামের মানুষও বলে দিতো, এ তো পদ্মা সেতুর কাজ চলছে। রোববার সেতুর ২৬ নম্বর পিয়ারের ৭ নম্বর পাইলটি স্থাপনের মধ্য দিয়ে এ কাজের সমাপ্তি হলো। এখন আর সেতু তৈরিতে কোনো প্রতিবন্ধকতার আশঙ্কা থাকল না।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের বলেন, হাতুড়ির/হ্যামারের পরিচিত শব্দটি আর কানে আসবে না। তবে বড় চ্যালেঞ্জের কাজটি যে সম্পন্ন হয়েছে, এটিই অনেক ভালো লাগার। কতটা ভালো লাগছে তা বলে বোঝাতে পারব না। সেতুর পিয়ারের পাইল স্থাপনের কর্মযজ্ঞটি ছিল নানা চ্যালেঞ্জে ভরা। উত্তাল পদ্মাকে জয় করার এই প্রচেষ্টা এখন সাফল্যে রূপ নিয়েছে। আশা করি এখন বাকি কাজগুলোও সফলভাবে শেষ করতে পারবো।

২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। এর পর থেকে পাইল বসানোর কাজ শুরু হয়। নানা জটিলতার মধ্যে তাদের কাজ করতে হয়েছে। পদ্মা নদীর মাটির বৈচিত্র্যতার কারণে পাইলের নকশায় পরিবর্তন আনতে হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ-২ (লৌহজং-টঙ্গিবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বলেন, পদ্মা সেতু ছিল প্রধানমন্ত্রীর একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে এ সেতুর কাজে হাতে দেন তিনি। রোববার একটি বড় চ্যালেঞ্জ পার হয়েছে। সেতু নির্মাণে এখন আর তেমন কোনো বাধা নেই।

সেতুর ৪২টি পিয়ারের মধ্যে ৩০টি পিয়ারের কাজ শেষ হয়েছে। পাইলগুলো বসানোর কাজ শেষ হওয়ায় এ বছরের মধ্যে চেষ্টা করা হবে সবকটি পিয়ারের নির্মাণকাজ শেষ করতে। একই সঙ্গে স্প্যান বসানোর কাজও চলবে।

মূল সেতুর ৮১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। নদীশাসন কাজের অগ্রগতি ৫৯ শতাংশ। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭১ শতাংশ।

আপনি আরও পড়তে পারেন