প্রধানমন্ত্রীর কাছে কানছিয়া রায়ের বাঁচার আকুতি

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের বারাই কাইনাকুড়ি গ্রামের অসহায় দরিদ্র অন্ধ কানছিয়া রায় এর ভাগ্যে জোটেনি সরকারি কোন অনুদান।

অন্যের ঘরের সাথে চাল লাগিয়ে কানছিয়া রায় (৭৫) স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন। ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের বারাই কানাইকুড়ি গ্রামের মৃত সিতা রাম এর পুত্র কানছিয়া রায় জানান দীর্ঘদিন ধরে অন্ধ অবস্থায় ভিক্ষাবৃত্তি করে তার পরিবার কে পরিচালনা করছেন।

তার ভাগ্যে বয়স্কো ভাতাও জোটেনি, সরকারের দেওয়া বরাদ্দকৃত বাড়িও জোটেনি। তার পরিবারে চারজন প্রতিবন্ধী, এক ছেলে বিদাসু (২৫) সেও প্রতিবন্ধী, তার পুত্র সেও প্রতিবন্ধী।

তাদের জীবনে সরকারী কোন অনুদান মেলেনি। ফুলবাড়ী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী’র বরাদ্দকৃত ঘরও তাদের ভাগ্যে মেলেনি। বর্তমান কানছিয়া রায় ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালাচ্ছেন।

শুক্রবার (১৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় কাঁদতে কাঁদতে তিনি দুঃখ করে বলেন, আমি ইউপি চেয়ারম্যানকে এবং দুই নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য নকুলকে হাত ধরে বলেছিলাম বাবা আমার কেউ নাই পরের জায়গায় ঘর বানিয়ে বসবাস করছি।

আমার দুটি চক্ষু নাই ভিক্ষা করে জীবন চালাচ্ছি। সংসারে পুত্রসহ চার জনই প্রতিবন্ধী আমাকে একটু বাঁচার পথ করে দিন। কিন্তু আমার এই আবদার কেউ রাখেনি।

তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার শেষ বয়সে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছি।

আপনি আরও পড়তে পারেন