মালয়েশিয়ায় অবৈধদের ফেরাতে এয়ার লাইন্স কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হাইকমিশনারের বৈঠক

মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশি এয়ার লাইন্সের কান্ট্রি ম্যানেজারদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন রাস্ট্রদূত মহ. শহীদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় দূতাবাসের হল রুমে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে মালয়েশিয়া সরকারের ঘোষিত (বিফোরজি) প্রোগ্রামের আওতায় হয়রানিমুক্ত সহজ পদ্ধতিতে অবৈধ প্রবাসীদের দেশে প্রত্যাবর্তনে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে হাইকমিশনের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা পোষন করেছেন মালয়েশিয়ায় দায়িত্বরত বিমান বাংলাদেশ, ইউ এস বাংলা ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজ এর কর্মকর্তারা।

বৈঠকে চলমান এয়ার লাইন্স টিকেটের মূল্য হ্রাস করে বিফোরজি প্রোগ্রামের আওতায় যারা দেশে প্রত্যাবর্তন করবে তাদের টিকেট যাতে কম মূল্য সরবরাহ করা হয় হাইকমিশনার সে প্রস্তার রাখলে বৈঠকে উপস্থিত সংশ্লিষ্টরা তাদের উর্ধ্বতন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে তারা এই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে হাইকমিশনারকে আশ্বস্ত করেন।

হাইকমিশনার সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য বলেন, এই প্রোগ্রামের আওতায় কালোবাজারিদের দ্বারা যাতে করে সাধারন কর্মী ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেদিকেও সবার খেয়াল রাখতে হবে।

 

উল্লেখ্য, এ কর্মসূচি ১ আগস্ট শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত চালু থাকবে। মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট এবং নিশ্চিত (কনফার্মড) বিমান টিকিটসহ আবেদন করতে হবে এবং জরিমানা ও স্পেশাল পাস বাবদ সাকুল্যে ৭০০ মালয়েশিয়ান রিংগিত জমা দিতে হবে। ইমিগ্রশন কর্তৃপক্ষ আবেদনের এক কার্যদিবসের মধ্যেই স্পেশাল পাশ বা বহির্গমনের অনুমতি প্রদান করবে। এই অনুমতিপ্রাপ্তির তারিখ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই মালয়েশিয়া ত্যাগ করতে হবে।

এ কর্মসূচির কাজ প্রক্রিয়াকরণের জন্য কোন ৩য় পক্ষ বা ভেন্ডর বা এজেন্ট নিযুক্ত করা হয় নি। কোন মাধ্যম ছাড়াই আবেদনকারীকে সরাসরি নিকটস্থ ইমিগ্রেশন অফিসে স্বশরীরে হাজির হতে হবে। যদি কেউ ৩য় পক্ষ বা ভেন্ডর বা মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে ভূয়া তথ্য প্রদান করে আর সেটি প্রমানিত হয় তাহলে আবেদন কারির জেল- জরিমানা হতে পারে। আবেদনকারি সঠিক তথ্য উপস্থাপনের জন্য হাইকমিশনের পরামর্শ নিতে আহবান জানিয়েছেন হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম।

আপনি আরও পড়তে পারেন