জাতীয় সংগীত নিয়ে বিতর্কের ঝড়ে নোবেল

ভারতীয় চ্যানেল জি বাংলায় প্রচারিত গানের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ‌‌‘সা রে গা মা পা’-এর মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন মাঈনুল আহসান নোবেল। জনপ্রিয়তা পেলেও প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছেন নোবেল। তিনি গেয়েছেন আইয়ুব বাচ্চুর ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে’, মাইলসের ‘ফিরিয়ে দাও’সহ বাংলা-হিন্দি আরও অনেক গান। তুমুল জনপ্রিয় এইসব গানগুলো নতুন করে ভাইরাল হয়েছে নোবেলের কণ্ঠে।

তবে সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে প্রিন্স মাহমুদের লেখা ও সুর, জেমসের কন্ঠে গাওয়া ‘বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটি অনুষ্ঠানে গেয়ে ব্যক্তিগত অভিমত প্রকাশ করেছেন নোবেল। প্রিন্স মাহমুদের নাম ও গানকে জড়িয়ে কবিগুরুর নাম ও গানের সঙ্গে যে তুলনা, বিশেষ করে জাতীয় সংগীতের মতো রাষ্ট্রীয় আবেগকে খাটো করার যে ধৃষ্টতা নোবেল দেখিয়েছেন তা নিয়ে অনেকে তীব্র সমালোচনা করছেন।

ভিডিও সাক্ষাৎকারে নোবেল বলেন, প্রিন্স মাহমুদ স্যারের গাওয়া গানটি নিয়ে কথা বললে অনেকে অনেক কথা বলবেন। তবে আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, আমাদের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ আমাদের দেশকে নিয়ে যতটা না ব্যাখ্যা করে তার চেয়ে বেশি ‘বাংলাদেশ’ গানটি কয়েক হাজার গুণ কথা বলে আমাদের দেশকে নিয়ে। আমাদের জাতীয় সংগীতে যতটা না আছে তার থেকে এই গানটিতে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, আবেগের জায়গা অনেক প্রসারিত করে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এই গানটি জাতীয় সংগীত করার দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। আমি মনে করি এই গানটি সত্যি আমাদের প্রাণের গান হওয়া উচিৎ ছিল।

এদিকে ভিডিও সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ হওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।এরপর অনেকে তীব্র সমালোচনা করে বলছেন, নোবেল সাহেবের মাথায় গণ্ডগল আছে তাই এসব বলছেন। সালেহীন শিপ্রা নামে একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছে, এই গানটাও তো আমাদের জাতীয় সংগীত থেকে “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি ” নিয়েছে।মানে এই গানটা হলো পরজীবি ধরণের। রবীন্দ্রনাথ সোনার বাংলা না লিখলে এই গানটাও হতো না। সুতরাং পরজীবি গান জাতীয় সংগীত হবার আবদার হইলো এক বছরের বাচ্চার ট্রাক চালাবার আবদার৷

মৌমিতা তিষা নামের একজন ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, অদ্ভুত কথা বলে, সারাজীবন ভারতে কাটিয়ে আসছে তো তাই।বাংলাদেশ এ স্কুলে দাড়িয়ে জাতীয় সংগীত গাইলে বুঝতো এর মর্ম।

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন