পশুর হাটে সিসি ক্যামেরা

ঈদকে ঘিরে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ। ছিনতাই, চাঁদাবাজি রোধে পশুর হাটগুলো সিসি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রণ করা হবে।। অজ্ঞান, মলম পার্টির তৎপরতা ও পশুবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নেয়া হচ্ছে বাড়তি নিরাপত্তা।

নগরবাসীর দাবি, এসব পদক্ষেপ যেন শুধু ঘোষণা হয়ে না থাকে, সঠিকভাবে কার্যকর হয়।

এফডিসির অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, কোরবানির ঈদে নগদ টাকা বেশি লেনদেন হয়ে থাকে। এ সুযোগে জাল নোট কারবারিরা জাল টাকার ব্যবসা করে থাকেন। তাই প্রতিটি পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তের মেশিন বসানো হয়েছে। কোনো ক্রেতা বিক্রেতার নোট নিয়ে সন্দেহ হলে পুলিশের সাহায্য নিতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, হাটগুলোতে ৩ স্তরের নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। জনদুর্ভোগ ও যানজটের কথা চিন্তা করে এবার নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে রাস্তায় হাট বসালে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কাউকে সন্দেহ হলে তল্লাশি করা হবে।

এদিকে বাজারে ছিনতাই, পকেটমার ও চাঁদাবাজি বন্ধে সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করবে পুলিশ। রয়েছে পুলিশের কন্ট্রোল রুমও। সিসি ক্যামেরা দেখে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। থাকবে সাদাপোশাকেও পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া অজ্ঞান ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্য বন্ধে গরু ব্যাপারীদের অপরিচিত দোকান থেকে কোনো খাবার না খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশ।

ইজারাদাররা জানান, কোরবানির পশুর হাট থাকছে উত্তর সিটি কর্পোরেশনে থাকছে পশুর হাট ৯টি এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৪টি। এরই মধ্যে বেশির ভাগ হাটের প্রায় ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, পশুর হাটের প্রবেশ পথে তোরণ নির্মাণ হয়েছে। খুঁটি বসানো হচ্ছে পুরোদমে। চলছে প্যান্ডেলের কাজ। পুলিশ কন্ট্রোলরুমে সিসি ক্যামেরার কাজ চলছে। সারাক্ষণ আলোর জন্য বসানো হচ্ছে জেনারেটর।

ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. জাহিদ হোসেন বলেন, কোনোভাবেই নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে হাট বসানো যাবে না। যদি কেউ নির্দেশ অমান্য করে তার বিরুদ্ধে সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে পশুর হাট বসলে সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন