দেশি মাঝারি গরুর প্রতিই ঝোঁক বেশি ক্রেতার

বগুড়ায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির গরুর হাট। প্রতিটি হাটে প্রচুর গরু আমদানি থাকায় এবার বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। দাম সাধ্যের মধ্যে হওয়ায় পছন্দের গরু কিনতে পেরে সন্তুষ্ট ক্রেতারা। পছন্দ অনুযায়ী গরু বিক্রি করতে পেরে সন্তুষ্ট বিক্রেতারাও।

বগুড়ার বিভিন্ন হাট ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার প্রতিটি হাটেই মাঝারি সাইজের অর্থাৎ দুই থেকে তিন মণ ওজনের গরুর চাহিদা বেশি। এই সাইজের গরুর দাম ৬০ থেকে ৭০ হাজারের মধ্যে রয়েছে। বড় সাইজের অর্থাৎ চার মণ বা তার বেশি ওজনের গরুর চাহিদা কম থাকায় দামও তুলনামূলক কম রয়েছে। তবে সব ক্রেতার নজর দেশি জাতের গরুর দিকে।

শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের কাঞ্চাহারি গ্রামের বকুল হোসেন বুধবার মহাস্থান হাট থেকে একটি গরু কেনেন ৮১ হাজার টাকায়। তিনি বলেন, চার মণের বেশি মাংস হবে। দুই বছর আগেও এ ধরনের গরুর দাম এক লাখ টাকার বেশি ছিল।

চলতি সপ্তাহে মহাস্থান হাটে সবচেয়ে বড় সাইজের গরুর দাম উঠেছিল ৪ লাখ ১২ হাজার টাকা। এই হাটে ৩০-৩৫ হাজার টাকার মধ্যেও গরু বিক্রি হয়েছে। বগুড়ার গরুর হাটের মধ্যে গাবতলী উপজেলার তরনী হাট অন্যতম।

হাটে গরু কিনতে যাওয়া বগুড়া শহরের ব্যবসায়ী আসাদুল হক কাজল বলেন, হাটে প্রচুর গরুর আমদানি রয়েছে। তরনীর হাটে কেনাবেচার ওপর নির্ভর করে অন্যান্য হাটের গরুর দাম। তবে শহরের মানুষ গরু রাখার জায়গার অভাবে ২-৩ দিন আগে গরু কিনে থাকেন। তার মতে এবার গরুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

বগুড়া সদরের নামুজা গ্রামে শাহাদৎ হোসেন তার বাড়িতে পালন করা গরু বিক্রি করেছেন এক লাখ টাকায়। তিনি বলেন, ১৫ মাস গরুটি পালন করে তার বেশ ভালো লাভ হয়েছে। খুব বেশি দামে বিক্রি করার চেষ্টা করিনি। গরু বিক্রি করার আগে দুই হাটে দাম যাচাই করে এক লাখ টাকায় ছেড়ে দিয়েছি।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার বগুড়া জেলায় কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার গবাদিপশু। সেখানে কোরবানির উপযুক্ত গবাদিপশুর সংখ্যা ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৫০৮।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, জেলার নিজস্ব গবাদিপশুর মাধ্যমে কোরবানির চাহিদা পূরণ করেও ৫০ হাজার গবাদিপশু দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা যাবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন