সাকিবের কন্ঠে হতাশা

২০১৪ সালে ঘোর অন্ধার গিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটে, টানা ব্যর্থতায় রঙ্গিন পোশাকে মুশফিকের অধিনায়কত্ব কেড়ে নিয়ে দেওয়া হয় মাশরাফিকে। আবারও টানা ব্যর্থতার বলয়ে বাংলাদেশ, উত্তরণের পথ খুঁজে দিশা হারা সাকিব বাহিনী। ৫ বছর আগে টানা ব্যর্থতায় ছিল লড়াইয়ের ইঙ্গিত, চট্টগ্রামে লঙ্কানদের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি হেরেছে শেষ বলে গিয়ে।

কিন্তু মাঠের ক্রিকেটে নূন্যতম লড়াইয়ের আভাস নেই চলমান বাজে সময়ে, বিশ্বকাপের শেষদিক থেকে শুরু নাজুক অবস্থার । লঙ্কা সফরে অসহায় আত্মসমর্পণ, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্টে নাকানিচুবানি খাওয়া। ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ধুঁকেধুঁকে জয়, পরের ম্যাচেই আফগানদের সামনে আবার খোলসবন্দী। ব্যাটসম্যানরা যেন বুঝতেই পারছেনা তাদের কি করণীয়।

এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরনের পথ বাতলে দিলেন অধিনায়ক,

“দায়িত্ব সবার নিজেকেই নিতে হবে। তাদের গেম প্ল্যান তৈরি করতে হবে, তারা কীভাবে ওভারকাম করবে নিজেদেরই ঠিক করতে হবে। কোচ যতই বলুক, অন্যান্যরা যতই বলুক আসলে দিনশেষে খেলাটা আমাকেই খেলতে হবে। ব্যাটিং বলেন, বোলিং কিংবা ফিল্ডিং বলেন তিনটা আমাকে করতে হবে। স্বাভাবিকভাবে সবাই নিজের গ্যাম প্ল্যান নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। কে কাকে পরামর্শ দিবে আর সেটা উচিতও না। কোচিং স্টাফরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছে, অন্যান্য দেশের খেলোয়াড়েরা কীভাবে খেলছে সেসবও দেখানো হচ্ছে, আমি জানিনা আর কি করতে হবে। দিনশেষে প্রয়োগটা আমাদেরই কর‍তে হবে।”

সিরিজ শুরুর আগে সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন অনুশীলনে বেশ পরিশ্রম করছে ছেলেরা। কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্সে প্রতিফলন হচ্ছেনা কিছুই। সাকিব বলছেন এটাই বাস্তবতা। মাঠের ক্রিকেটে সফল না হলে প্রশ্ন উঠবে আপনার নিবেদন নিয়ে।

বিশ্বকাপে নিজের উদাহরণ টেনে সাকিব যোগ করেন,

“আমি বলবোনা কেউ অনুশীলনে কিংবা মাঠে সেরাটা দিচ্ছেনা। আমার জানামতে সবাই নিজেদের জায়গায় সর্বোচ্চটুকুই দিচ্ছে, কিন্তু এই দেওয়ার জায়গাটায় কোথাও ভুল হচ্ছে। আপনি অনুশীলন, ট্রেনিংয়ে বেশ ঘাম ঝরালেও মাঠে যখন সফল হবেননা সেটা নিয়ে কেউ কথা বলবেনা। বিশ্বকাপে আমিও যদি ভালো না খেলতাম আমার পরিশ্রম নিয়ে খুব একটা আলোচনা হতনা, এটাই স্বাভাবিক।” (ক্রিকেট ৯৭)

আপনি আরও পড়তে পারেন